আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পড়তে আগ্রহী। সেটা হতে পারে আন্ডার গ্রাজুয়েশন, পোস্ট গ্রাজুয়েশন কিংবা ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের জন্য। কিন্ত এর জন্য করণীয় কি তা জানা নেই।
বিষয়টি আমাদের অনেকের কাছে যথেষ্ট নতুন। আবার আমরা সেরকম দক্ষ মেন্টরও পাই না, যারা আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। যার ফলে আমরা অনেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।
আবার অনেকসময় বিভিন্ন দালাল কিংবা এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার প্রকৃয়া কাজ করে থাকি। তারা আমাদের অজ্ঞাতার সুযোগ নিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। এবং পাসপোর্ট দিলেই তারা ভিসা, থাকা-খাওয়া ও পড়ার ব্যবস্থাসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। এইসব ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই নিজের লাখ লাখ টাকার লোকসান করেছেন। তাই বিদেশে পড়তে যাওয়ার সব খুঁটিনাটি বিষয় জানা আবশ্যক।
বিদেশে পড়তে যাবো কেনো?
আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদেশে গিয়ে ডিগ্রি নেয়া উচিৎ কি না তা ভাবতে হবে।
১.দেশের বাইরে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিলে অভিজ্ঞাতা বাড়ে। একই সাথে বাড়ে আত্মবিশ্বাও। যা পরবর্ীতে একজন মানুষকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে।
২. নতুন দেশ, সংস্কৃতি ও ভাষা সম্পর্ যনা। এর ফলে ব্যক্তির মধ্যে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি । নতুনভাবে চিন্ত করতে শেখায়। যোগাযোগের ক্ষেত্র বাড়াতে সহায়তা করে।
৩.অভিজ্ঞাতা, আত্মবিশ্বাস ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেশাগত দক্ষ্যতাকে বৃদ্ধি করে। চাকরির ক্ষেত্রে পেশাগত দক্ষতা খুবি গুরুত্বপূর্ বিষয়।
কি ধরনের প্রস্তুতি নেব?
যে কোন কাজের আগে কিছু প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। কাজ হোক সেটা ছোট অথবা বড়। জীবনের গুরুত্বপূর্ এ কাজরে আগে অবশ্যই কিছু প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে।
১. বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে শুধু পড়াশুনায় ভালো হলেই হবে না। কিছু এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটির প্রয়োজন হবে। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের সাথে জড়িত থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্। এছাড়া নাচ, গান, আবৃত্তি, খেলাধুলায় পারদর্শী,বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ম্যাথ অলিম্পিয়াড, ফিজিকস অলিম্পিয়াডের মতো বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার বিষয় ইত্যাদি। বাহিরে পড়তে গেলে এ বিষয়গুলো বিশেষ সহায়ক হিসেবে কাজ
২. ইংরেজি ভাষায় দক্ষ ও পারদর্ হতে হবে। এ ক্ষেত্রে IELTS, TOFEL, GRE, GMAT ও SAT তে ভালো স্কর থাকতে হবে।
৩. কমনওয়েলভুক্ত দেশগুলোতে যেতে হলে IELTS-এ ভালো স্কোর থাকতে হবে।
৪. যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা প্রভৃতি দেশে টোফেল স্কোর প্রয়োজন হবে।
৫. কিছু কিছু দেশ আছে সে দেশের ভাষা শিখে নেয়াটা জরুরি। যেমন-
চীন, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স ইত্যাদি।
ভাষাগত দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই সম্পন্ন করা প্রয়োজন।
১. নিজের আপডেটেড সিভি ও কাভার লেটার
২. সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ইংরেজিতে করিয়ে নেওয়া।
৩. পাসপোর্টে যেন কোনো সমস্যা না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখা।
৪. বিদেশের যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার খরচ বহন করা সম্ভব কি না, সেটা আগে থেকেই যাচাই করা।