শিক্ষা

নির্ধারিত সময়ে বই না দেয়ায় কালো তালিকায় ১৪ প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্ধারিত সময়ে বিনামূল্যে বই দিতে না পারায় ১৪টি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনোটি আজীবন, কোনোটি এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত বই ছাপার কাজে যুক্ত হতে পারবে না।

এছাড়াও আর্থিক জরিমানার মুখে পড়তে হবে এসব প্রতিষ্ঠানকে। জামানত হিসেবে পারফরম্যান্স গ্যারান্টি (পিজি) ১০ শতাংশ টাকা থেকে শাস্তির ধরন অনুযায়ী কর্তন করা হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে বই ছাপার কাজ পাওয়া মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে এসব প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের ৩ মাস পরও বই দিতে পারেনি। এছাড়াও নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপায় একাধিক সময় তাদের বই বাতিল করা হয়।

কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সূত্রাপুরের মেসার্স রেজা প্রিন্টার্স, মেসার্স মিলন প্রিন্টিং প্রেস, নিহাল অফসেট প্রিন্টিং প্রেস, সিফাত প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস, মিলেনিয়াম প্রিন্টার্স, খন্দকার মুদ্রণালয়, বাংলাবাজারের টাইমস প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস, অনুপম প্রিন্টার্স, কচুয়া প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স, চট্টগ্রামের সাগরিকা প্রিন্টার্স।

এছাড়া গেন্ডারিয়ার মানিক প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস, নারিন্দার দি ইউনিক প্রিন্টার্স অ্যান্ড প্যাকেজার্স, শ্যামপুরের নাইমা আর্ট প্রেস ও রংপুর সদরের মেসার্স কমটেক কম্পিউটার অ্যান্ড প্রিন্টার্স।

এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলছেন, এসব প্রতিষ্ঠান আগামী এক থেকে তিন বছর কেউ কেউ আজীবন নিষিদ্ধ থাকবে। একইসঙ্গে আর্থিক জরিমানা তাদের মূল বিল থেকে কেটে রাখা হবে।

জানতে চাইলে এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. জিয়াউল হক বলেন, সময়মতো বই না দেওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও আর্থিক জরিমানা হিসেবে জামানত হিসেবে রাখা পিজি থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ টাকা কাটা হবে। তারা নিষিদ্ধ সময়ে এনসিটিবির কোনো কাজে অংশ নিতে পারবে না।

এনসিটিবির একটি সূত্র বলছে, টাঙ্গাইল অফসেট প্রেস নামে একটি প্রতিষ্ঠান এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত বই ছাপার কাজ করেছে।

অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের চার মাস পরও তারা বই দিতে পারেনি। এ প্রতিষ্ঠানকে ২০১৮ সালেও কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। কিন্তু কৌশলে তারা আবারও কাজ নেয়। নির্ধারিত সময়ের তিন মাস পরও বই দিতে পারেনি আরও পাচঁ প্রতিষ্ঠান। যাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের মোট ৪ কোটি ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৬ জন শিক্ষার্থীর জন্য বিনা মূল্যের বই ছাপা হয়েছে ৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৩৯৪টি। এবার প্রাক্কলিত দরের চেয়ে অস্বাভাবিক কম দামে কাজ নিয়েছিলেন মুদ্রণকারীরা।

এজন্য আশঙ্কা করা হয়েছিল, এবার নিম্নমানের কাগজে বই ছাপতে পারেন মুদ্রণকারীদের অনেকেই। বছরের শেষ সময়ে এসে এ রকম কিছু ঘটনা ধরাও পড়েছিল।

এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে সাড়ে ৬ লাখের বেশি বই এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন কাগজ বাতিল করা হয়েছিল।

সানসিউজ/এএসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সবজির বাজারে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, সবজি...

স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা, নারী আটক

জেলা প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় জীবিত স্বামীকে বৈষম্যবিরোধ...

বৈষম‌বিরোধী আন্দোলনে বেঁচে ফেরার আশা করেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন আন্দোল&zwnj...

বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন পূজা 

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চিত্রনায়িকা ও মডেল পূজা চেরি ডজনখানেক ছব...

ইসলামী ব্যাংকের সাথে হাব-এর মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর উদ্যোগে হ...

স্যার জগদীশচন্দ্র বস’র প্রয়াণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেশ কি...

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

সান নিউজ ডেস্ক: প্রতি সপ্তাহের একেক দিন বন্ধ থাকে রাজধানীর ব...

শেখ হাসিনাসহ ৬১ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে আদালতের নির্দেশে সাবেক প্রধা...

গুমের সঙ্গে জড়িতরা পার পাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বের কোথাও গুমের সঙ্গ জড়িতরা পার পায়নি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা