নিজিস্ব প্রতিনিধি: গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনপত্র নেওয়ার কার্যক্রম শেষ হচ্ছে আজ (বৃহস্পতিবার)।
প্রাথমিক আবেদনকারীদের তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের ফল ২৩ এপ্রিল (শুক্রবার) মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হবে।
আর প্রাথমিকভাবে বাছাই করা শিক্ষার্থীরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ৫০০ টাকা জমা দিয়ে ২৪ এপ্রিল থেকে ২০ মের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীরা ১ জুন থেকে ১০ জুনের মধ্যে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন এবং ১৯ জুন থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।
জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল থেকে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হয়। তবে সর্বশেষ কত আবেদন পড়েছে তা জানা যাবে আজ বিকেলে। তবে গত রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ আবেদন এসেছে বলে জানা গেছে।
শেষ পর্যন্ত কত সংখ্যক আবেদন এসেছে তা আজ বিকেলে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা-বিষয়ক টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর।
তিনি বলেন, অনলাইন আবেদন শুরু হওয়ার পর ওয়েবসাইটে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। চূড়ান্ত পর্যায়ে কতজন আবেদন করেছে তা আজ বিকেলে জানা যাবে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে আর্থিক সংকট তৈরি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। অনেকে আবার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাই আবেদনের সংখ্যা কিছুটা কম মনে হচ্ছে।
ড. মুনাজ আহমেদ জানান, গুচ্ছ ভর্তিতে আবেদনের সময় আর বাড়ানো হবে না। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন চলবে। এরপর ২৩ এপ্রিল ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ২৪ এপ্রিল চূড়ান্ত আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে। এ ধাপে শিক্ষার্থীদের ছবি, কেন্দ্র চয়েজ, আবেদন ফি দিতে হবে। পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে চলতি সপ্তাহে গুচ্ছ কমিটির বৈঠক হওয়ায় কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিকভাবে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে (সর্বোচ্চ ৬ বাছাইয়ের মানদণ্ড অনুসারে) ইউনিটভিত্তিক চূড়ান্ত আবেদনের জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচিত হবে। প্রতিটি ইউনিটে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। নির্ধারিত সময়ে চূড়ান্ত আবেদন শেষ করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী (ওয়েটিং লিস্ট) তালিকা থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে।
চূড়ান্ত আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের ২৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ন্যূনতম ৫টি কেন্দ্র পছন্দের তালিকায় রাখতে হবে। এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান কোর্সের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, এসএসসি ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর,পাসের বছরসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিবেচনা পূর্বক প্রতিটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কেন্দ্র নির্ধারণী স্কোর (সর্বোচ্চ ১০০) প্রস্তুত করা হবে। প্রাপ্ত স্কোর ও কেন্দ্রের পছন্দক্রমের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে। নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।
এবার দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক শ্রেণিতে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া সিদ্ধান্ত হয়।
সাননিউজ/এএসএম