নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২ এপ্রিল সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার ভর্তি পরীক্ষায় দুটি প্রশ্নের উত্তর না করলেও নম্বর পেয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা। ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এবার ভর্তি পরীক্ষায় দুটি প্রশ্নে প্রিন্টিং মিসটেক ছিল। সে কারণে প্রশ্ন দুটি সঠিকভাবে হয়নি। এজন্য ওই দুটি প্রশ্নের উত্তর কেউ না পূরণ করলেও তাকে দুই নম্বর দেয়া হয়েছে। এমন কি কোনো শিক্ষার্থী যদি ওই দুটি প্রশ্নের উত্তর ভুলও করে থাকেন তবুও তিনি দুই নম্বর পেয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির এক সদস্য বলেন, এবার ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি অংশের একটি এবং পদার্থ বিজ্ঞান অংশের একটি প্রশ্নে সমস্যা হয়েছিল। বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি বৈঠক করে।
বৈঠকে ওই দুটি প্রশ্নের জন্য সবাইকে নম্বর দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে যারা পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছেন তাদের সবাইকে ওই দুটি প্রশ্নের জন্য নম্বর দেয়া হয়েছে।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার ফলে অসংগতির কথা উল্লেখ করে সামগ্রিক ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। তাদের দাবি, পরীক্ষার পর পাঠ্যবই, বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে প্রকাশিত উত্তরপত্র মিলিয়ে তারা যে নম্বর আশা করেছিলেন সেই নম্বরের সাথে প্রাপ্ত নম্বরের বিস্তর ফারাক রয়েছে।
তাই সামগ্রিক ফল পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।
তবে শিক্ষার্থীদের এমন দাবির যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করছে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি। তাদের মতে, সামগ্রিক ফল পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে কেন? সবার তো রেজাল্ট নিয়ে সমস্যা নেই। যাদের সমস্যা আছে তারা রেজাল্ট রিচেকের জন্য আবেদন করুক।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ও ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিচির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব বলেন, আগে ফল রিচেকের কোনো সুযোগ ছিল। তবে এবার রাখ হয়েছে। যাদের ফল নিয়ে সমস্যা মনে হচ্ছে তারা আবেদন করুক। আমরা তাদের উত্তরপত্র আবার দেখব। তবে সামগ্রিকভাবে ফল পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, এবার ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৯২ জন শিক্ষার্থী এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে পাস করেছেন ৪৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। আর সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৫০ জন।
সাননিউজ/এএসএম