নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে দেশের বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
তিনি বলেন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মৌলিক গবেষণায় ভালো করছে। গবেষণার মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ও উচ্চশিক্ষাকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের আরো বেশি গবেষণায় মনোযোগী হতে হবে এবং গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
বুধবার (১০ মার্চ) নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি কর্তৃক তিনটি বৈদেশিক প্রকল্পের অনুদানের অর্থ গ্রহণ ও ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ‘ইউটিলাইজিং কোরিয়ান ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফর জব ক্রিয়েশন ইন বাংলাদেশ’, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত ‘রিসার্চ অন ইন্টারসেকশন অব জেন্ডার অ্যান্ড টেকনোলজি’ এবং ইউনিভার্সিটি অব নটিংহাম এর অর্থায়নে পরিচালিত ‘কলেরা এন্টিবায়োটিক রেজিস্টিক ইন বাংলাদেশ: বিগ ড্যাটা মাইনিং অ্যান্ড মেশিন ল্যার্নিং টু ইম্প্রুভ ডায়াগনস্টিকস ট্রিটমেন্ট সিলেকশন’ প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স এর ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হোসেন এবং ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নোভা আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর চন্দ দেশের মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে গবেষণা চালিয়ে যেতে গবেষকদের অনুরোধ করেন। এসব গবেষণা প্রকল্পে ইউজিসি থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নানাবিধ সীমাবদ্ধতা থাকার পরও গবেষণায় প্রশংসনীয় অবদান রাখছে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
সান নিউজ/আরএম/আরআই