নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আগামী রোববারের (২৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে দাবি পূরণ না হলে দেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিতের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ করতে আসেন বিভিন্ন সরকারি কলেজের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা।
পুলিশের হাতে আটক শিক্ষার্থীদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি স্থগিত করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন সিদ্ধেশ্বরী কলেজের ছাত্র আল আমিন। চলতি ফেব্রুয়ারির শেষ বা মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চলমান পরীক্ষাগুলোর নতুন রুটিন প্রকাশ করার দাবি জানান তিনি।
বিক্ষোভের জন্য জড়ো হলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগ থেকে ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী রিফাত রহমান বলেন, আটকদের না ছাড়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাব না। ছেড়ে দিলে আমাদের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেব। আর যদি আমাদের দাবি না মানা হয় আমরা আবার বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।
একই কলেজের শিক্ষার্থী জহির আহমেদ বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজের চলমান পরীক্ষা নেওয়া হলে আমাদের পরীক্ষা কেন স্থগিত থাকবে। এটা স্পষ্টত বৈষম্য। আমরা তো সরকার পতনের আন্দোলন করছি না।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আটকদের মুক্তির জন্য শাহবাগ থানার সামনে জড়ো হলে পুলিশের পক্ষ থেকে সন্ধ্যার মধ্যে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক মুক্তি চেয়ে স্লোগান দেন।
সেই সময় পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের পরীক্ষা হোক আমরাও চাই। আপনারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দিন, এ ব্যাপারে আমরা আপনাদের সহযোগিতা করব। আটকরা আসলেই শিক্ষার্থী কিনা আমাদের সন্দেহ। আমাদের কাছে খবর এসেছে, এরা অনুপ্রবেশকারী। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাদের ছেড়ে দেব।
পুলিশের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা থানা ফটক থেকে না সরলেও এক পর্যায়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তারা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থানের চেষ্টা করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম সেখানে তাদের অবস্থান নিতে দেয়নি।
সান নিউজ/এম