নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১৩ মার্চ হল খোলার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি মার্চ মাস থেকে স্নাতক শেষবর্ষ ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তও স্থগিত।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না এলে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের হলে তোলার প্রস্তুতির জন্য দুই সপ্তাহ সময় দরকার। সে জন্য অনুষদ ও বিভাগ সমন্বয় করে ১৭ মের দুই সপ্তাহ পর থেকে কার্যক্রম শুরু হবে। ১৩ মার্চকে কেন্দ্র করে যে পরীক্ষাগুলোর ঘোষণা ছিল, সেগুলো হবে না। এগুলো স্থগিত করা হলো।
এদিকে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। এই দাবি আদায়ে ৭২ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান শেষে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তারা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবেন।
অনুষ্ঠিত সভা থেকে সিদ্ধান্ত আসার পর হল খোলার বিষয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান জানতে চাইলে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুনায়েদ হোসেন খান বলেন, ‘আল্টিমেটাম চলবে। ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করবো আমরা। এরপরে পরবর্তী কর্মসূচি জানাবো। হল খুলে দিতেই হবে। নইলে আন্দোলন চলবে।’
সান নিউজ/টিএস/এসএস