নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের মধ্যস্থতায় রাত ৮ টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান শরবত পান করিয়ে ২ শিক্ষার্থীর অনশন ভঙ্গ করান।এ সময় ভিসি বলেন, আমরা শিক্ষকতা করি। ছাত্রই আমাদের জীবনের অংশ।
ছাত্ররা যদি ভাল না থাকে, শিক্ষার্থীরা যদি ভাল না থাকে তাহলে শিক্ষকতার কোনও সার্থকতা নাই। আমরা শুধু শিক্ষকই নই, মা বাবাও বটে। শিক্ষকরা কখনোই শিক্ষার্থীদের অমঙ্গল চান না।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে শরবত পান করিয়ে দুই শিক্ষার্থীর ৮ দিনের এ অনশন ভাঙান উপাচার্য। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিভিন্ন দফতরের ডিন, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক এবং সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে আবেদন করেছে, দুঃখ প্রকাশ করেছে। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে শৃঙ্খলা বোর্ডের সভা ডেকে ২ শিক্ষার্থীর আবেদনের বিষয়টি উপস্থাপন এবং সেখানে সর্বোচ্চ সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন।
গত কয়েকদিন ধরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২জন শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা বোর্ড প্রদত্ত শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালন করে। শিক্ষার্থীরা তাদের ভুল অনুধাবন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে পত্র দেওয়ার পর সংকট নিরসনের পথ সুগম হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের মধ্যস্থতায় রাত ৮ টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান শরবত পান করিয়ে দুই শিক্ষার্থীর অনশন ভঙ্গ করান। গত কয়েক দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভুত পরিস্থিতির অবসানে খুলনাবাসীর অভিভাবক খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক স্ব-উদ্যোগে ক্যাম্পাসে এসে সংকট নিরসনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি যে ভালোবাসা ও সহানুভূতি দেখিয়েছেন তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি কেসিসির ডেপুটি মেয়র মোঃ আলী আকবর টিপু, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দফতর, শিক্ষকবৃন্দ, এ্যালামনাইবৃন্দ, সুশীল সমাজের বিবেকবান মানুষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরীসহ সকলকে সংকটকালে উপস্থিত থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি যে ভালোবাসা ও সহানুভূতি দেখিয়েছেন তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
একই সঙ্গে তিনি কেসিসির ডেপুটি মেয়র মোঃ আলী আকবর টিপু, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দফতর, শিক্ষকবৃন্দ, এ্যালামনাইবৃন্দ, সুশীল সমাজের বিবেকবান মানুষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরীসহ সকলকে সংকটকালে উপস্থিত থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সান নিউজ/এসএ