নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি ডিসেম্বর মাসেই এইচএসসির ফলাফল ঘোষণা করার আশা করছে শিক্ষা বোর্ড। সেই লক্ষে ফলাফল তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। তবে বিভাগ পরিবর্তন, কারিগরি ও উন্মুক্ত থেকে আসা এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফল কীভাবে তৈরি হবে তা নিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে।
করোনার কারণে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির ফল দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এবার এইচএসসি ও সমমানের মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। এর মধ্যে ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৭১ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থী। ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫০১ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে গতবারের এইচএসসিতে এক বিষয়ে পাস করতে না পারা পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া পরীক্ষার্থী ৫৪ হাজারের বেশি। আর সব বিষয়ে ফেল করা বা গতবার পরীক্ষা না দেওয়া পরীক্ষার্থী ৫১ হাজারের বেশি। সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের কারণে গতবার ফেল করা এসব শিক্ষার্থীই জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে পাস করতে যাচ্ছেন।
এ ছাড়া ১৬ হাজারের কিছু বেশি মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থী ও তিন হাজারের বেশি প্রাইভেট পরীক্ষার্থী রয়েছেন, যাঁরা গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফল করেননি, তারাই বেশি প্রস্তুতি নিয়ে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ আর পাচ্ছেন না। ফলে ইতিমধ্যে পাস করা এসব শিক্ষার্থীর ফল কী হবে, সেটিও একটি জটিল প্রশ্ন। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো তাদেরও জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, যদি তাদের জেএসসি ও এসএসসির ফল যদি খারাপ থাকে, তাহলে কী হবে। এখন এই ফল কিভাবে হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় শিক্ষার্থীরা।
ফল তৈরির জন্য টেকনিক্যাল কমিটি একটি নীতিমালা করেছে। সে অনুযায়ী এখন ফল তৈরি হচ্ছে। এসএসসির ফলের ৭৫ এবং জেএসসির ২৫ শতাংশের গড় নিয়ে এইচএসসির ফল তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরও নেয়া হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক নেহাল কবির বলেন, জেএসসি-জেডিসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি-সমমানের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। আগের দুই পরীক্ষার ফলের ওপর শিক্ষার্থীর গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, অটো পাসে পরীক্ষার্থীদের গ্রেড নির্ণয় করতে একটি আট সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা চারটি সভা করে একাধিক প্রস্তাব তৈরি করেছি। তার থেকে চূড়ান্ত একটি প্রস্তাব নির্বাচন করে নভেম্বরের শেষ দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তার ভিত্তিতে নীতিমালা তৈরি করে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করা হবে।
এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে ছিলেন কিন্তু এইচএসসিতে মানবিক বা বাণিজ্যে, এমন শিক্ষার্থীদের ফল তৈরি হচ্ছে এসএসসির সাথে যে বিষয়ের মিল ছিলো সেখান থেকে নম্বর নিয়ে। আর যে বিষয়গুলোর মিল নেই সেগুলোর নম্বর কিভাবে দেয়া হবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
সান নিউজ/এস