নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগ প্রত্যাশীরা গত ১৮ দিন ধরে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। অনশনের এতদিনেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। অনশন করতে গিয়ে দেড় শতাধিক শিক্ষক নারী-পুরুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। তারপরও অনশনকারীরা বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবেন না।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল-২০১৮ প্রত্যাশী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু হাসান বলেন,প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অদৃশ্য জটিলতার কারণে ২০১৮ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ বঞ্চিত আমরা। নিয়োগ বাণিজ্য ও নিয়োগের দীর্ঘসূত্রিতা যার অন্যতম প্রধান কারণ।
তিনি বলেন,সারাদেশে ২৪ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, যা অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর মাত্র ২ দশমিক ৩ শতাংশ। তাদের মধ্যে ১৮ হাজার ১০৭ জনকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা হয়েছে, যা মোট পরীক্ষার্থীর মাত্র শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ। সাড়ে ৩ হাজার কর্মস্থলে যোগদান করেন নি। তারা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮ এর অপেক্ষমান তালিকা থেকে নিয়োগ প্রদান ও প্যানেল পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবিতে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ প্রাইমারি এডুকেশন এনুয়াল সেক্টর পারফরমেন্স ২০১৯- এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাত্র ১ জন শিক্ষক দ্বারা শিক্ষাদান চলছে ৭৯টি বিদ্যালয়ে। ২ জন ও ৩ জন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে যথাক্রমে ১ হাজার ১২৪টি ও ৪ হাজার ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সান নিউজ/এসএ/এস