ইবি প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসে প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণের কাছে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। তার এই অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
বুধবার (৪ নভেম্বর) সংগঠনের রাবি শাখার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়। বিবৃতিতে নেতারা তার এরুপ আচরণের জন্য ছাত্রসমাজের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেন। অন্যথায় সারাদেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন।
বিবৃতিতে ছাত্র নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান। যা জনগণের টাকায় চলে। সেখানে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে গেলে তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ও তাদের তুই-তুকারি করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ। তার এমন আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
ইবি প্রক্টরের এমন আচরণ শুধু রাবি শিক্ষার্থীকে নয় বরং সারাদেশের ছাত্রসমাজকে অপমান করা হয়েছে। তাই ছাত্র ফেডারেশন রাবি শাখা থেকে ইবি প্রক্টরের এই স্বৈরাচারী আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। একইসঙ্গে ইবি প্রক্টরকে তার এরুপ আচরণের জন্য ছাত্রসমাজের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি তুলেন ফেডারেশনের নেতারা। অন্যথায় সারাদেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হবে বলে হুশিয়ারী দেন।
একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও প্রক্টর হয়েও তার এমন রুঢ় আচরণে ক্ষুদ্ধ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী চঞ্চল আহমেদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুদের নিয়ে ইবি ক্যাম্পাসে ঘুরতে গেলে ইবি প্রক্টর আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে বের করে দেন। আমরা একজন শিক্ষকের থেকে এমন অসঙ্গত আচরণ কখনোই আশা করি না। তিনি আমাদেরকে ভালোভাবেও বলতে পারতেন। তার এমন ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এদিকে প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, তারা ক্যাম্পাসের পাশে শান্তিডাঙা থেকে ঘুরতে এসেছে বলে পরিচয় দেয়। তাদের মুখে কোন মাস্ক ছিল না। তাই করোনা সতর্কতায় আমি তাদের চলে যেতে বলি। কিন্তু চার চারবার বলার পরেও তারা না যাওয়ায় একটু উঁচুস্বরে তাদের চলে যেতে বলেছি।
এদিকে এর আগেও প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এক শিক্ষার্থী প্রক্টরের ফেসবুক পোস্টে তার মতের বিরুদ্ধে কমেন্ট করায় বেয়াদপ ও তুই-তুকারি করে শাসিয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থীকে নানা কারণে থাপ্পড়ও মেরেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সান নিউজ/এএস/এনকে/এস