সান নিউজ ডেস্ক : অনেকেই জানেন না অনার্স ও ডিগ্রীর মধ্যে পার্থক্য কোথায়। তাদের জন্য এই পোস্ট অনার্স এবং ডিগ্রীর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। অনার্স হচ্ছে স্নাতক সম্মান আর ডিগ্রি হচ্ছে শুধু স্নাতক। অনার্স ৪ বছর মেয়াদি এবং ডিগ্রি ৩ বছর মেয়াদি। অনার্সে মূলত যেকোন এক বিষয়ের উপর খুঁটিনাটি পড়ানো হয় থাকে তাই তারা ওই বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে গড়ে উঠে। আর ডিগ্রি আলাদাভাবে কয়েকটি বিষয়ের কিছু কিছু অংশ পড়ানো হয়। তাই ডিগ্রীর ছাত্রছাত্রীরা পঠিত কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে কিছু কিছু জ্ঞান লাভ করতে পারে। সার্টিফিকেটের মান ডিগ্রীর চাইতে অনার্সের টার বেশি।
মাস্টার্স হচ্ছে ডিগ্রি করার পর ২ বছর মেয়াদি একটা কোর্স এবং অনার্স করার পর ১ বছর মেয়াদি একটা কোর্স যাকে স্নাতকোত্তর বলা হয়। চাকরির ক্ষেত্রে অনার্স সম্পর্ন কারীদের সরাসরি অনেক ব্যাংক বা কোম্পানিতে চাকরিতে নিয়োগ দিয়ে থাকে কিন্তু ডিগ্রি সম্পর্ন কারীরা মাস্টার্স সম্পর্ন না করলে নিয়োগ দেয়া হয়না।
অনার্স শেষ করে সরাসরি বিসিএস দেয়া যায় কিন্তু ডিগ্রি করে মাস্টার্স না করলে বিসিএস দেয়া যায়না। তবে ডিগ্রি করে মাস্টার্স করলে উভয়ের মান এবং অগ্রাধিকার সমান হয়ে যায়। এমনকি অনেক সময় বা এখনও অনেক ছাত্রছাত্রী আছে যারা ডিগ্রি শেষ করে মাস্টার্স করে মেধা বা রেজাল্টে অনার্স এবং মাস্টার্স কারীদের চাইতে অনেক এগিয়ে এবং ভালো প্রতিষ্ঠানে বা সরকারি জব করছে। যেখানে অনেক অনার্সের ছাত্র ছাত্রী চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুড়ে বেরোচ্ছে ।
ডিগ্রি আর অনার্স মধ্যে পার্থক্য তো অনেক :
অনার্স সাধারণত ৪ বছরের কোর্স আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর ডিগ্রী ৩ বছরের কোর্স। সার্টিফিকেট ও ভিন্ন হয় চাকরির ক্ষেত্রেও অনার্স ডিগ্রী’র চাহিদা একটু বেশিই বলা যায়। ডিগ্রী পাস কোর্স শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়া হয় অথচ অনার্স কোর্স শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হয় না।
আর বাংলাদেশে বর্তমানে একটা হিসাব রক্ষক পদের জন্য অনার্স-মাস্টার্স কেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে,আবার দেখা যায়,কেউ শুধুই অনার্স করেছেন,তাতেও ছোট খাটো কোম্পানীতে কিংবা এমপি ভুক্ত স্কুলে চাকরি হয়ে যায় কিন্তু শুধু ডিগ্রী পাস করলে চাকরি মেলানো বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়,তবে আমি মনে করি কেউ যদি ডিগ্রী করে তাহলে মাস্টার্স না করা পর্যন্ত সেই ডিগ্রী (পাস) এর তেমনটা মূল্যায়ন করে না, তাই আমার দৃষ্টিকোণ থেকে,ডিগ্রী থেকে অনার্স ভালো এইতো ২০১২ সালে বিসিএস পরীক্ষার একজন সারাদেশ ব্যাপী প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। সেও কিন্তু একজন ডিগ্রীর ছাত্রই। মোট কথা আপনি যেখানেই থাকেন না কেন। মেধা এবং যোগ্যতা দিয়ে ভালো কিছু দেখাতে পারলে প্রত্যেকটা শিক্ষা শাখাই ভালো।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পার্থক্য কি?
এইচ এস সি পাশের পর তিন বছর বা চার বছর মেয়াদি যে কোর্সে ভর্তি হওয়া হয় তাকে স্নাতক বলে। বিএ, বিএসএস, বিএসসি, বিকম, বিবিএ ইত্যাদি নাম হতে পারে কোর্সের এটা সম্মান/অনার্স বা পাস/ডিগ্রি হতে পারে। স্নাতক পাশের পর এক বছর বা দুই বছর মেয়াদি যে কোর্সর ভর্তি হওয়া হয় তাকে স্নাতকোত্তর বলে। এমএ, এমএসএস, এমএসসি, এমকম ইত্যাদি হতে পারে কোর্সের নাম। অনার্স করে স্নাতকোত্তর করলে এক বছর আর পাস করে স্নাতকোত্তর করতে চাইলে দুই বছরের কোর্স বিদ্যমান।
সান নিউজ/পিডিকে