নিজস্ব প্রতিবেদক : কাফনের কাপড় পরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে প্যানেলে নিয়োগ প্রার্থীরা।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দিলেও প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিয়োগ প্রার্থীরা। । এতে তিনজন নারীসহ ১০ জন আন্দোলনকারী আহত হন। এমতাবস্থায় তাদের দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা।
প্যানেলে নিয়োগ প্রত্যাশী সংগঠনের সভাপতি আব্দুল কাদের বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েও কোনো ফল না পাওয়ায় শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে দাফনের কাপড় পরে গত তিনদিন ধরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। অথচ বুধবার (১৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে আমাদের কর্মীদের পুলিশ লাঠিপেটা করে সরিয়ে দিয়েছে। এতে করে আমাদের তিনজন নারী ও সাতজন পুরুষ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ দিয়ে আমাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হলেও আমরা বাড়ি ফিরে যাব না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্যালেনভুক্ত নিয়োগের দাবিতে আমরা আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।’ এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে সেখান থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান বলেন, ‘এই কর্মসূচি দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছি।’তিনি বলেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার পরও শূন্য পদে তাদের নিয়োগ না দিয়ে কর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ করেছে। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত দুটি নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫৬ হাজার ৯৩৬ প্রার্থী গত এক বছর ধরে প্যানেল শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে স্থগিতের পর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯ হাজার ৭৮৮ জন এবং ২০১৮ সালে নিয়মিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার ১৪৮ জন প্যানেলে নিয়োগের দাবি জানান।
সান নিউজ/পিডিকে/এস