নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষাবর্ষের এক মাস ২১ দিন পার হলেও দেশের সব শিক্ষার্থী সব পাঠ্যবই হাতে পায়নি।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ২০২৫ এর সময়সূচি প্রকাশ
এনসিটিবি সূত্রমতে, নতুন শিক্ষাবর্ষে চার কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৪০ কোটি ১৫ লাখ বই ছাপানোর আয়োজন করা হয়েছিল। তবে পরে এসে দেখা যায়, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চাহিদা জানানো হয়েছে। নতুন করে হিসাব করে দেখা যায়, মোট বই ছাপতে হবে আসলে ৩৯ কোটি ৬০ লাখের মতো।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, ছাপার পর বই নির্ধারিত মান অনুযায়ী হয়েছে কিনা, তা যাচাই করে সরবরাহের আদেশ দেওয়া হয়। ফলে ছাপা হলেও সঙ্গে সঙ্গে তা পাঠানো যায় না। আবার ছাপার পর তা বাঁধাইয়ের কাজেও দেরি হয়।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তারা চেষ্টা করছেন ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব বই সরবরাহ করতে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য বলছে, জেলায় সব শ্রেণির বই মোটামুটি পাওয়া গেছে। তবে ঘাটতি রয়েছে নবম শ্রেণির বইয়ের। নবম শ্রেণির বইয়ের চাহিদা চার লাখ ৬৪ হাজার ৩২২। এর মধ্যে পাওয়া গেছে দুই লাখ ৭০ হাজার ৫৫৪টি।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ শিথিল
দেশের বিভিন্ন স্থানের কয়েকটি বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষকেরা এনসিটিবির ওয়েবসাইট থেকে বইয়ের পিডিএফ সংস্করণ ডাউনলোড করে পড়াচ্ছেন। তবে সব শিক্ষার্থীর হাতে পিডিএফ সংস্করণ নেই। ফলে যেসব বিষয়ের বই পৌঁছায়নি, সেসব বিষয়ে পড়াশোনা তেমন একটা হচ্ছে না। বিশেষ করে গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট বিষয় পাঠদান হচ্ছে না বললেই চলে।
এনসিটিবির একটি সূত্র জানায়, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এনসিটিবি প্রথমে সব শ্রেণির তিনটি বিষয়ের (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) বই দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এরপর এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে দশম শ্রেণির বই ছাপার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপার কাজ প্রায় শেষ। এখন নবম শ্রেণিসহ মাধ্যমিকের অন্যান্য শ্রেণির অবশিষ্ট বই ছাপায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সান নিউজ/এমএইচ