নিজস্ব প্রতিবেদক: ৪৭তম বিসিএসের ৩ সপ্তাহের বেশি সময়ে মাত্র ৮০ হাজার চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: শাহবাগে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের অবস্থান
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
পিএসসির পরীক্ষা শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৭৭ হাজারের কিছু বেশি আবেদন ফি পরিশোধসহ জমা পড়েছে। অনেকে আবেদন ফরম পূরণ করলেও ফি জমা দেননি। সব মিলিয়ে ৮০ হাজারের মতো প্রার্থী আবেদন ফরম পূরণ করেছেন।
বিগত বিসিএসগুলোতে সাধারণত ২০-২৫ দিন আবেদনের সুযোগ দেওয়া হতো। এবার সময় বাড়িয়ে একমাস করা হয়েছিল। আবেদনে ‘ধীরগতি’ ও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সময় আরও প্রায় একমাস বাড়ানো হয়েছে। ফলে এবার প্রার্থীরা আবেদনে সময় পাচ্ছেন প্রায় ২ মাস।
আগে বিসিএসে আবেদন করতে ৭০০ টাকা ফি লাগতো। বাইরে থেকে আবেদন ফরম পূরণসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে খরচ পড়তো ১ হাজার টাকার মতো। সদ্য স্নাতক শেষ করা বেকারদের জন্য এ টাকা জোগাড়ও ছিল কষ্টসাধ্য। সে সংকট এবার নেই। সরকার বিসিএসে আবেদন ফি একধাপে কমিয়ে মাত্র ২০০ টাকা করেছে। ফলে প্রার্থীদের জন্য আবেদনের পথ সহজ হয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ১২ এপ্রিল
পিএসসির ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রার্থীরা কে, কখন আবেদন করবেন, সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। তাছাড়া এবার সময় অনেক বেশি। এখনো একমাসের বেশি সময় আবেদন করা যাবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এবার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে স্নাতক পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে। সেশনজটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। দেরিতে পরীক্ষা শুরু হওয়ায় ৪৭তম বিসিএসে আবেদন করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।
পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম বলেন, ‘সেশনজটসহ কিছু সংকট আছে। সেগুলো বিবেচনা করে আমরা একের পর এক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। প্রায় একমাস সময় বাড়ানো হয়েছে। অবতীর্ণ প্রার্থীর বিসিএসে আবেদন নিয়ে যে নিয়ম ছিল, তাতেও সংশোধনী দিয়েছি। আশা করি, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী আবেদনের সুযোগ পাবেন।’
সান নিউজ/এএন