নিজস্ব প্রতিবেদক:
একাদশ শ্রেণির অনলাইন ক্লাশ শুরু হয়েছে আজ। অনলাইন ক্লাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেছেন, যেদিন ক্লাসে পাঠদান শুরু হবে তখনও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম সহায়ক শিক্ষা হিসেবে চালু থাকবে।
রোববার (০৪ অক্টোবর) একাদশ শ্রেণির (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) অনলাইন ক্লাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাগত বক্তব্যে মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘এ বছর নতুন শিক্ষার্থীরা ক্লাস শুরু করছেন তাদের মনে রাখতে হবে তারা অসাধারণ ভাবে ক্লাসটি শুরু করছেন। কারণ এ বছর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর জন্ম শত বছর।’
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে করোনার প্রভাবে যখন সাধারণ ছুটি শুরু হয়। তখন শিক্ষকদের কাছে থেকে উত্তরপত্র সংগ্রহ অনেক কঠিন ছিল। ওই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী মহোদয় আমাদেরকে ডাক বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। এর ফলেই এইচএসসির ফল প্রকাশ সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফল প্রকাশের ৩০ মিনিটের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে তাদের ফলাফল পৌঁছে গিয়েছে। এর জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক জানান, পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয় দেশ যারা মহামারীর সময়ে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছে।
সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমি ১৯৭৯ সালে এসএসসি পাস করি। সেসময় আমার ফলাফল পেতে দুদিন সময় লেগেছিল। এ বছর আমার সন্তানের ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে মেসেজ এসেছিল। এই যে দুদিন থেকে দুই মিনিট একমাত্র ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রথম দিনের কলেজ স্মৃতি মনে থাকে। এবার অনলাইনে ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে দেশের শিক্ষা পরিবারের অভিভাবক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আপনাদের সঙ্গে আছেন।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, জ্ঞান এখন উন্মুক্ত। মানুষ ইউটিউব, গুগল থেকে জানা ও শেখার সুযোগ রয়েছে ও তা যাচাই বাছাইয়ের সুযোগ রয়েছে। এসময়টি শিক্ষার্থীদের পরিকল্পনা করে কাজে লাগানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া সকল শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাই। কারণ এই শিক্ষার্থীরা কঠিন সময় পাড়ি দিয়ে এখানে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনলাইন ব্যবস্থা আগেও ছিল কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থায় যে ব্যবহার করা যায় তা কোভিড পরিস্থিতি আমাদেরকে শিখিয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অনেকে দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে যা ইনকাম করছেন অনেকে কোনকিছু পাশ না করেই তার চেয়ে বেশি উপার্জন করছেন। শুধু শিক্ষিত হলেই হবে না, দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কোন পেশাকে খাট করা যাবেনা। এখন সুযোগ অনেক বেশি। শুধু কাজে লাগাতে হবে। আমি নিজেও ওয়েটারের কাজ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকল শিক্ষার্থীকে ড্রেন পরিস্কার করার মানসিকতা থাকবে আবার দেশ পরিচালনার বা নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।’
সাননিউজ/আরএইচ