জেলা প্রতিনিধি: সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হল থেকে তাকিয়া তাসনিম বিভা (১৯) নামে ১ ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় তার কক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
তাকিয়ার বাড়ি । তার বাবার নাম। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।
নিহত শিক্ষার্থী, মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী গ্রামের আরিফ হোসেনের একমাত্র মেয়ে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের ৭০০৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী শিউলি আক্তার জানান, রোববার ৪.৪৬ মি. একটি অজানা নম্বর থেকে তার ফোনে কল আসে। এ সময় অপর প্রান্ত থেকে ১ যুবক তাকে বলেন,আপনি কি তাকিয়ার পাশের রুমের? তখন আমি বলি, আমার থেকে একটু দূরে ওর রুম। এরপর সে বলে ‘তাকিয়া সুইসাইড করতে পারে, আপনি দ্রুত ওর রুমে যান।
এর পরে আমি দৌড়ে গিয়ে দরজা ধাক্কা দেই এবং অন্য শিক্ষার্থীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ফ্যানের সাথে তাকিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে ফ্যান থেকে নামিয়ে খাটে শুইয়ে দেওয়া হয়।
আরেক শিক্ষার্থী উম্মে মারিয়াম বলেন, আমরা রোববার ৫টায় এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এরপর সেখানে গিয়ে দেখি, তাকিয়া ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে ছিলো। এর পরে আমরা একটি বটি দিয়ে ওড়না কেটে তাকে নামাই। ঐ সময় তার শরীর কিছুটা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিলো। পরে তাৎক্ষণিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসককে হলে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বাস–অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২
তাকিয়ার স্থানীয় অভিভাবক ও মামা মনির হোসেন জানান, রোববার ভোর সাড়ে ৫টায় হল থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয় তাকিয়া আত্মহত্যা করেছে। পরে আমি সাভার থেকে ঘটনাস্থলে এসে দেখি তাকে ফ্যান থেকে নামিয়ে খাটে শুইয়ে রাখা হয়েছে। আমি তার বাবা-মাকে ফোন করে এই ঘটনা জানাই।
পুলিশের ডিউটি অফিসার মাসুদ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা নিহত শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহ করেছি। এ সময় তার রুম থেকে একটি ডায়েরি, ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পরিবার ও হল কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষা করা হচ্ছে।
সান নিউজ/এএন