জিসান নজরুল, ( ইবি ) প্রতিনিধি: অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ ও বরাদ্দকৃত কক্ষ ফিরে পেতে আমরণ অনশনে বসেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেন। এসময় লিখিতভাবে এবং তাদের বরাদ্দ জায়গা বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। এর আগে বেলা ১১টা থেকে তারা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান করছিলেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবি
জানা গেছে, গত ৮ অক্টোবর কলা অনুষদের ডিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের চতুর্থ তলার ২৩টি ও পঞ্চম তলার একটি কক্ষ চারুকলা বিভাগের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে কাগজে-কলমে বরাদ্দ পেলেও কক্ষগুলো ব্যবহার করতে পারছে না বিভাগটি।
ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ চারুকলা বিভাগের জন্য বরাদ্দকৃত ওই কক্ষগুলো ব্যবহার শুরু করেছে। ফলে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ২৩ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করে আসছে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় একই স্থানে দখলদার আখ্যা দেয়ার প্রতিবাদে পাল্টা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ফোকলোর স্টাডিজ ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর দেড়টার দিকে এই তিন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্য আলোচনা করে সমাধানের আশাস দিলে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ পেয়েও ব্যবহার করতে পারছি না। কক্ষগুলো ফোকলোর ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ দখল করে আছে। এদিকে আমাদের ক্লাস পরীক্ষা পরিচালনা করার কোনো জায়গা নেই। আমরা আমাদের নতুন চেয়ারম্যানকে বসতে দেওয়ারও জায়গা পাইনি। আমরা প্রসাশনের দারস্ত হয়েও কোনো সমাধান পাইনি। আমাদেরকে বিভিন্নভাবে আশ্বস্ত করা হয়েছে, কিন্তু কোনো ফল পাইনি। তাই আমরা বাধ্য ও নিরুপায় হয়ে আমরণ অনশনে বসেছি। আমাদের দাবির বিষয়ে প্রশাসন লিখিত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাবো।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, উপাচার্য ক্যাম্পাসের বাইরে আছেন। তিনি ক্যাম্পাসে ফিরলে আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিষয়টি নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমি দুপুরেই আন্দোলনকারীদের বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা একটা সমাধানের দিকেই যাচ্ছি।
সান নিউজ/এএন