নিজস্ব প্রতিবেদক:
এ বছরের ১৭ মার্চ থেকে আগামী বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত পালিত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। আর এ উপলক্ষে চলছে মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো নানা রঙ ও সাজসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। এর সঙ্গে আয়োজন করা হবে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান।
এ উপলকে মুজিববর্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ হিসেবে স্কুলড্রেস, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য ৫০০ টাকা করে দেবে সরকার।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রতিমাসে ১০০ থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন । প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মুজিববর্ষে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম একটি উপহার হতে যাচ্ছে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য নতুনমাত্রা যোগ করবে।
স্বভাবতই এ খবরে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ শিক্ষা-সংশ্নিষ্ট সবাই খুশি। তারা সরকারের এ নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ উদ্যোগের কথা জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি বিতরণ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মুজিববর্ষে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে প্রত্যেকের জন্য শিক্ষা সহায়ক উপকরণ (ড্রেস, জুতা ও ব্যাগ) কেনার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে সরকার সর্বদা সচেষ্ট। এ জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হলো দরিদ্র পরিবারগুলো যেন সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক উপকরণ কিনতে পারে এবং শিশুরা আনন্দের সঙ্গে স্কুলে যেতে পারে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের শুরুতেই সারাদেশের প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থীর মায়েদের কাছে নতুন পোশাকের জন্য টাকা দেওয়া হবে। এজন্য এখন থেকেই মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর দক্ষিণ পাহাড়তলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মুজিববর্ষে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ভাতা প্রদান মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। শিশুশিক্ষার্থীদের প্রতি বছর যেন এ ভাতা চালু থাকে।
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, স্কুলড্রেস, জুতা ও ব্যাগ পেলে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অবশ্যই বাড়বে। তবে ৫০০ টাকার মধ্যে ড্রেস, ব্যাগ ও জুতা কেনা সম্ভব হবে না।
রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. খোরশেদ আলম বলেন, এটি সরকারের খুবই প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ। এটা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক সবাই খুশি হবে। মুজিববর্ষের সব কার্যক্রমে আরও বেশি স্বতঃস্ফুর্তভাবে ও আগ্রহ সহকারে আমাদের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এমপি এম আব্দুল লতিফ এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন শিক্ষা উপকরণ ভাতা দেওয়ার বিষয়টি সংসদ সদস্যদের নিশ্চিত করেন।
সান নিউজ/সালি