নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেনাপোল (যশোর): যশোরের শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের নাম নিবন্ধনে ফিয়ের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, যশোর শিক্ষাবোর্ড সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নাম নিবন্ধনে বোর্ড ফি বাবদ ৭৫ টাকা হারে নির্ধারণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠান। অথচ এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম নিবন্ধন ফি বাবদ ১৮৬ জন ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা হারে আদায় করেছেন।
শার্শা গ্রামের অভিভাবক স্কুল শিক্ষক আব্দুল মজিদ, স্বরুপদাহ গ্রামের শিক্ষক ইয়াকুব আলী, মাদ্রাসা শিক্ষক আলিমুর রহমান, শার্শা পাইলট হাইস্কুলের শিক্ষক শাহজাহান আলী ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম আমাদের ছেলে-মেয়েদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা হারে আদায় করেছে। অতিরিক্ত টাকা জরিমানা হিসেবে আদায়ের কথা বলছেন তিনি। অথচ বোর্ড কোনো জরিমানার টাকা আদায়ের নির্দেশ দেয়নি।’
শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর জানায়, ৮ম শ্রেণিতে উপজেলার ৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার ৬৪৮ জন ছাত্র-ছাত্রীর নাম নিবন্ধন করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অতিরিক্ত ফি আদায় করিনি। তবে জরিমানা হিসেবে ৫০ টাকা নিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।’
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মণ্ডল বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। প্রধান শিক্ষক জরিমানা বাবদ টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন। পরিচালনা কমিটির সবাইকে নিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’
সান নিউজ/ এআর