নিজস্ব প্রতিবেদক: বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এ প্রতিবাদ সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর, জেএমবি ও ছাত্র শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
দেয়ালে পোস্টার লাগাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ইমেইলে দাওয়াত দিচ্ছে, টাঙ্গুয়ার হাওরে শিবির দেশ বিরোধী মিটিং করছে। বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত একটি নাটক। এ নাটক বন্ধ করতে হবে এবং বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
তিনি বলেন, ইমতিয়াজ রাব্বি যদি একা স্বাধীনতার স্বপক্ষে লড়াই করে আমরা তার পক্ষে লড়াই করবো। সংবিধান সমাবেশের স্বাধীনতা ও সংগঠন করার স্বাধীনতা দিয়েছে। যারা সংবিধানবিরোধী সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তাদের শিক্ষা দেয়ার জন্যই আজকে আমরা শহীদ মিনারে হাজির হয়েছি।
আমরা দাবি জানাই, বুয়েটসহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে এবং ইমতিয়াজ রাব্বির হলের সিট ফিরিয়ে দিয়ে তাকে সসম্মানে বরণ করে নিতে হবে।
ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, আমরা নাকি বুয়েটে অনুপ্রবেশ করেছি। অনুপ্রবেশের রাজনীতি ছাত্রলীগ করে না। আমরা প্রবেশ করি ও পরিবর্তন করি।
আরও পড়ুন: ডাকঘরে জনবলকে কাজে লাগানো হচ্ছে
একজন নাগরিক হিসেবে শুধু বুয়েট কেন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে। আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে অনেকবার বুয়েটে গিয়েছি। বুয়েটে যেতে হলে কাদের কাছে অনুমতি নেব? যারা ২১ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ মার্চের বিরোধিতা করে, তাদের কাছে?
আমরা জানি, ছাত্ররাজনীতিতে নেগেটিভ এলিমেন্ট রয়েছে। তবে এটাকে সংস্কার করতে হবে ভালো ছাত্ররাজনীতি দিয়ে। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে সংবিধান অবমাননা করা হচ্ছে। যাচ্ছেতাই ক্যাম্পাস কালচার তৈরি ও ক্যাম্পাসে অন্ধকার রাজনীতি চর্চার সুযোগ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই বুয়েটের শিক্ষার্থীরা স্মার্ট ছাত্ররাজনীতি উপহার দেবে। আপনারা আসুন, ছাত্ররাজনীতির স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করুন। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে তা অনুসরণ করবো।
আরও পড়ুন: একেক রকম কথাবার্তা দলকে বিভ্রান্ত করে
সমাবেশে সমবেত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাঙলা কলেজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় নেতাকর্মীদের ‘মৌলবাদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘শিবিরের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জায়ামাত-শিবির-রাজাকার, তাড়াতাড়ি বাংলা ছাড়’, ‘শিবিরে আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম (বাপ্পি) ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
সান নিউজ/এনজে