নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় মসজিদে রোজার আলোচনা থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে হামলা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে এই হামলায় ছাত্রলীগের ইন্ধন রয়েছে। হামলায় আইন বিভাগের ৫ ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের বাসভবন বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন— সাকিব আজাদ তুর্য, শাহিনুর আলম রাসেল, রাফিদ হাসান সাফওয়ান, ফাহিম দস্তগীর, রেজোয়ান আহমেদ রিফাত। প্রত্যেকেই ঢাবির আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ডিবি পরিচয়ে অপহরণ, আটক ৬
সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের মসজিদে ধর্মীয় আলোচনার সময় টাওয়ার কল্যাণ সমিতির সভাপতি সিরাজুল হক এসে তাদেরকে চলে যেতে বলে এবং একই সময় শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল সুজন এসে তাদেরকে হুমকি ধমকি দিলে তারা বের হয়ে যাওয়ার সময় ভবনের মূল ফটকের সামনে থেকে প্রায় ৪৫-৫০ জন তাদের ওপর হামলা করে এবং পরে বাইক নিয়ে চলে যায়।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে সুজনের ছবি দেখালে ভুক্তভোগীরা তাকে চিনতে পারে । হামলায় জড়িত তাওহীদুল সুজন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুর অনুসারী।
আরও পড়ুন : এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যার চেষ্টা
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষার্থী, আবু তালহা বলেন, আমরা ১২-১৩ জন জোহরের নামাজ বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের মসজিদেই পড়ার পর রোজার ফজিলত নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এটা কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক কোনো কিছু ছিল না। তখনই বঙ্গবন্ধু টাওয়ার কল্যাণ সমিতির সভাপতি এসে আমাদেরকে জানান, এখানে আলোচনা করা যাবে না। উনার কথা শেষ না হতেই আরেকজন এসে আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকলে আমরা বের হয়ে যাওয়ার কথা জানাই। আমরা যখন গেট দিয়ে বের হই এমন সময় প্রায় ৫০ জনের মত বাইক নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা করে।
আহত রিফাত বলেন, রমজান উপলক্ষে আলোচনা হচ্ছিল। সেখানে হঠাৎ একজন এসে কল্যাণ সমিতির পরিচয় দিয়ে বললেন এখানে এগুলো করা যাবে না। তার পর আমরা বের হচ্ছিলাম এমন সময় বাইরে ১৫-২০ টা মোটরসাইকেলে করে এসে তারা যেভাবে পারছে আমাদেরকে মারধর করছে। কোন বিভাগ এটা জানার পরও থেকে হামলা করেছে। আমাকে মাটিতে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তাওহীদুল সুজন সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় আমি কোনো ভাবেই সম্পৃক্ত না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে আমি কেন মারতে যাব।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, আমরা এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে ক্যাম্পাসের ভেতরে এ ধরনের হামলার ঘটনা প্রত্যাশিত নয়।
সান নিউজ/এজেড