নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করা যাত্রীবাহী এমভি পারাবত-১১ লঞ্চ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছে। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।
বরিশাল সদর নৌ-থানার এসআই অলম চৌধুরী সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রাথমিক আলামতে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার। তার গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে। ওড়না পাওয়া যাচ্ছে না। খুনের শিকার নারীর সঙ্গে থাকা সকল জিনিসপত্রও নিয়ে গেছে ঘাতক। ফলে পরিচয় শনাক্ত করতে দেরি হচ্ছে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আশা করছি আজকের মধ্যে নারীর পরিচয় আমরা পেয়ে যাবো। একজন ঢাকা থেকে বরিশালে আসছেন শনাক্ত করতে। যদি তার স্বজন কেউ হয়ে থাকেন, তাহলে নিহতের পরিচয় ও হত্যাকাণ্ডের ক্লু পাওয়া যেতে পারে।
ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিন থেকে আনুমানিক ৩৮ বছর বয়সী ওই নারীর মরদেহ সোমবার উদ্ধার করে পুলিশ। নারীর সঙ্গে থাকা সন্দেহভাজন খুনি ব্যক্তিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হলেও এখনো তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
লঞ্চের সুপারভাইজার সেলিম জানিয়েছেন, রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে সদরঘাট থেকে এক ব্যক্তি ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে পারাবত-১১ লঞ্চের তৃতীয়তলার ৩৯১ নম্বর সিঙ্গেল কেবিনে ওঠেন। লঞ্চের রেজিস্ট্রারে তার নাম দেওয়া হয়েছে, কামরুল। সোমবার ভোর ৪টা ৪৭ মিনিটে লঞ্চটি বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করলে ওই নারীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তি নিহত নারীর ব্যাগ, মাস্ক ও ওড়না নিয়ে দ্রুত নেমে যান। তার মুখমণ্ডলে মাস্ক ছিল। অন্য যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পরও কেবিনে থাকা নারী না নামায় কেবিন স্টাফরা তাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে নৌ-পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে নারীর মরদেহ দেখতে পায়।
কোতোয়ালি থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, নিহত নারীর ময়না তদন্ত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।