নিজস্ব প্রতিবেদক :
নেত্রকোণার কলমাকান্দার গুমাই নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে কলমাকান্দা থানায় মামলাটি করেন ট্রলার ডুবিতে নিহত লুৎফুন্নাহারের স্বামী আব্দুল ওয়াহাব। মামলায় যাত্রীবাহী ট্রলারের চালক সোহাগসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়।
গ্রেপ্তারা হলেন- বাল্কহেডের (পণ্যবাহী বড় নৌকা) মালিক সেলিম মিয়ার ছেলে বাপন মিয়া (৩২), চালক আবাদুল মিয়া (৩৫) ও সোহাগ রহমান (৩০), চালকের সহযোগী জাফর মিয়া (২৮) ও বাবুর্চি বাদল মিয়া (৩০)। তাদের সবার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার পাটুলি গ্রামে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার ওসি মাজহারুল করিম জানান, ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ট্রলার চালক সোহাগ মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার মধ্যনগর এলাকা থেকে বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার নেত্রকোনার ঠাকুরাকোনার উদ্দেশে রওনা হয়।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রাজনগর গ্রাম লাগোয়া গুমাই নদে যাত্রীবাহী ট্রলারের সঙ্গে বালুবাহী ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। এতে শিশুসহ ১০ জনের প্রাণহানি হয়।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে প্রশাসন ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সান নিউজ/আরএইচ