নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানার লাল হাসপাতালের সামনের কফি হাউজে ছাত্রলীগকর্মী হাসিবুর রহমান নিয়াজ হত্যা মামলার বাদীকে হুমকি ও মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ করেছেন হতাহতের পরিবারের সদস্যরা।
রোববার (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নিহত হাসিবের বাবা মামলার বাদী মো. হাবিবুর রহমান ও মা নাছিমা বেগম এবং আহত জুবায়েরের বাবা মো. আলতাফ হোসেন ও মা ফাতেমা বেগমসহ এলাকাবাসী।
তারা বলেন, হাসিবকে কুপিয়ে হত্যা মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটি চক্র তৎপর। খালিশপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শারমিন রহমান শিখা প্রকাশ্যে মামলার বাদী পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন।
গত ১৯ আগস্ট এলকার মি. ক্রিয়েটিভ কাটস্ অ্যান্ড কফি হাউজে হাসিবুর রহমান নিয়াজ ও তার দুই বন্ধু নগর ছাত্রলীগের সদস্য মো. জুবায়ের হোসেন ও মো. রানাকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান হাসিব। এ ঘটনায় নিহত হাসিবের বাবা মো. হাবিবুর রহমান ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটির এজাহারভুক্ত সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ১৯ আগস্ট রাত সোয়া ৯টার দিকে ওই কফি হাউজে হাসিব, জুবায়ের ও রানা কফি পান করছিলেন। ওই মুহূর্তে অতর্কিতভাবে ফিল্মি স্টাইলে ১৫/২০ জন রামদা, চায়নিজ কুড়াল, চাপাতি নিয়ে তাদের ধাওয়া করে বাথরুমের দিকে নিয়ে যান। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন হাসিবকে। যা কফি হাউজের সিসি টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। নিহত হাসিবের বাবা খালিশপুর থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি করেন। ভিডিও ফুটেজ থাকা ও এলাকার ছেলে হওয়ায় হত্যাকারীদের চিনতে কোনো ধরনের ভুল হয়নি তার। এমনকি প্রশাসনেরও ভুল হওয়ার কথা নয়।
লিখিত বক্তব্যে তারা আরও বলেন, হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত ও ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করতে নানা কুট-কৌশল চলছে। খালিশপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী শিখা নানাভাবে বাদীর পরিবার-পরিজনকে হুমকি দিচ্ছেন। শিখার ছেলে অন্তর এজাহারভুক্ত ২নং আসামি।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে শারমিন রহমান শিখা বলেন, ‘আমার ছেলে অন্তর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। অন্তরের সঙ্গে হাসিবের কোনো শত্রুতা ছিল না। আরাফাত আমার ছেলের বন্ধু, সে ডেকেছিল বলে সেখানে গিয়েছিল অন্তর।’ তবে এ ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানান তিনি।