মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের পশ্চিম পাড়া এলাকায় সায়লা নামের এক গৃহবধূ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৪
নিহত সুজন দেওয়ান (৩৫) রং মিস্ত্রি ছিলেন। এ দম্পতির ৪ পুত্র সন্তান রয়েছে।
নিহতের বোন আকলিমা বেগম জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ সুজনের সাথে তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম নিয়ে সংসারে ঝগড়া চলছিল। এ ঘটনায় একাধিকবার পারিবারিকভাবে মিমাংসা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিদিন এ বিষয়ে সন্তানদের সামনেই ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়তেন সুজন-সায়লা দম্পতি।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে পশ্চিম পাড়া এলাকা থেকে সুজনের বোন আকলিমার কাছে ফোন আসে তার ভাই সুজন অসুস্থ। আকলিমা ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান তার ভাই সুজন মারা গেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
সুজনের ভাড়া বাড়ি থেকে মৃতদেহ বোন আকলিমার বাড়িতে নেয়ার অনুরোধ করেন সুজনের স্ত্রী ও শ্বশুর। এরপর সুজনের মৃতদেহ নিয়ে তার বোন শহরের ইদ্রাকপুরে চলে আসেন।
পরবর্তীতে আকলিমার বাড়িতে সুজনের আত্মীয়রা মৃতদেহ দাফনের জন্য প্রস্তুতি নিলে সুজনের গলায় এবং পিঠে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান।
বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেন স্বজনরা। পুলিশ এসে সুজনের স্ত্রী-সন্তান এবং শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ হলে নিহতের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন পুলিশ। নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
এ ঘটনায় নিহত সুজনের স্ত্রী সায়লা ও শ্বশুর মনির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সুজনের স্ত্রী এবং শাশুড়ি হত্যার ঘটনা অস্বীকার করেছেন। সারারাত মদপান করে সুজন নিজে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি তাদের।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খাইরুল ইসলাম জানান, মৃতদেহের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এটি আত্মহত্যাও হতে পারে বা শ্বাসরোধ করে হত্যাও হতে পারে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সান নিউজ/এনজে