নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: বরিশাল নগরীর রূপাতলী রেডিও স্টেশন এলাকার ড্রিমলাইফ মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পাঁচ কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন নির্যাতনে নিহত যুবক সুমন খানের ছোট ভাই নোমান।
অভিযুক্তরা হলেন, উজ্জ্বল সমাদ্দার, রায়হান, ফজলে রাব্বি, বায়জিদ হোসেন ও আবুল কালাম। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সোপর্দ করা হলে তাদের কারাগারে পাঠান আদালত।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, রূপাতলী রেডিও স্টেশন এলাকার মৃত ছাত্তার খানের ছেলে সুমন খান একই এলাকায় ড্রিমলাইফ নামক মাদকাসক্ত কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে ভর্তি ছিলেন। পরিবারের অনুরোধে একমাস আগে তাকে বাড়ি যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি আসার পর আগের মতোই আচরণ করেন। পরে পরিবার থেকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সুমনকে ধরে আনতে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের কর্মীরা গেলে তাদের সঙ্গে সুমনের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সুমনকে রশি দিয়ে হাত-পা বাধা হয়। এ সময় মেরে ও টানা-হেচড়া করে আনার চেষ্টা চালান মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পাঁচ কর্মী। এক পর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে সেখানেই মারা যান সুমন। বিষয়টি বুঝতে পেরে এলাকাবাসী ওই কর্মী ঘিরে রাখেন। র্যাব-৮ এর নজরে এলে তারা ৫ কর্মীকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করে।
নিহতের মা রিজিয়া বেগম জানান, ‘সুমন অপ্রকৃতিস্থ ও মাদকসেবী থাকায় প্রায়শই আমাদের কাছে টাকা চাইতো। না দিলে সবাইকে মারধর করতো। তাকে এর আগে একবার পরিবার থেকে আবেদন জানিয়ে কারাগারে রাখা হয়। ছয়মাস আগে ওই নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। একমাস আগে তাকে নিয়ে আসা হলে পুনরায় সে আগের মতোই আচরণ শুরু করে। পরে বুধবার দুপুরে পরিবার থেকে নিরাময় কেন্দ্রে আবেদন জানানো হয়। যেভাবে সুমনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা মেনে নেওয়ার মতো ছিলো না। তাদের অত্যাচারেই আমার ছেলে মারা গেছে।’
সান নিউজ/ এআর