নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে করোনা চলমান। চারদিকে সামাজিক দূরত্বের কথাই বলা হচ্ছে। তবে এটি যে কিছু মানুষের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করতে পারেনি, তা আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল গত আগস্ট মাসের ধর্ষণের সংখ্যা দেখে। সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা, হাতের কাছে অসহায় শিকার পেলে হাতছাড়া করেননি সমাজের সর্বোচ্চ স্তরের প্রাণী খ্যাত কিছু বীরপুরুষ।
করোনার মধ্যেও গত আগস্ট মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১০৪ জন নারী ও শিশু। আর গত একমাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২৪৯ জন নারী ও কন্যা শিশু।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-কমিটির কাছে সংরক্ষিত দেশের ১৩ জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করে জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
জরিপে দেখা যায়, গত মাসে ধর্ষণের শিকার ১০৪ জনের মধ্যে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩২ জন, যার মধ্যে শিশু রয়েছে ১৪ জন। ৭২ জনের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হওয়াদের মধ্যে ৪৯ জন শিশুও রয়েছে। তিনজন শিশুসহ ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৫০ জনকে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন একজন। তিনজন শিশুসহ ছয়জন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়।
জরিপে আরও দেখা যায়, গত একমাসে এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছেন চারজন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন একজন। অপহরণের শিকার হয়েছে মোট ছয়জন শিশু। পাচারের শিকার হয়েছেন একজন নারী। বিভিন্ন কারণে ৩১ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও একজন নারীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
এক মাসে যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়েছে ছয়জনকে, যার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে দুইজনকে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনজন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে আটজন শিশুসহ আত্মহত্যা করেছে ১৯ জন এবং রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে চারটি। এ ছাড়াও সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার হয়েছে দুইজন শিশু।
সান নিউজ/ বিএম/ এআর | Sun News