নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার: মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ লিয়াকত আলী।
রোববার (৩০ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারকের খাস কামরায় তার এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এর আগে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এপিবিএনের তিন সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আব্দুল্লাহ।
র্যাব সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বরখাস্ত এসআই লিয়াকত আলী, এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয়বারের মতো তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড মঞ্জুরের দুই দিন পরই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে লিয়াকত আলীকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়।
এর আগে আত্মসমর্পণের পর গত ৬ আগস্ট প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলালসহ সাত পুলিশের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এরপর সাতদিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় ২৪ আগস্ট আরো সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছিল র্যাব। আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ওই চারদিনের রিমান্ড শেষ হলে তদন্তের স্বার্থে তৃতীয় দফায় আরো চারদিনের আবেদন জানানো হলে গত শুক্রবার আদালত তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। মামলায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এপিবিএনের তিন পুলিশ সদস্য পৃথকভাবে গত বুধবার (২৬ আগস্ট) ও বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) আদালতে ১৬৪ ধারা মতে জবানবন্দি দেন। এ তিন পুলিশ সদস্য এখন কারাগারে রয়েছেন।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর