নিজস্ব প্রতিবেদক: বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে মিথ্যা সার্টিফিকেটের মাধ্যমে মোটরযান ফেরত দেওয়ার অভিযোগে আদালতে কর্মরত ২ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- আদালতের মোটরযান শাখার ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক ফুয়াদ উদ্দিন ও কনস্টেবল আবু মুছা।
আরও পড়ুন: মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৪৩
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহা দিবা ছন্দার আদালত তা গ্রহণ করেন। আগামী ২৬ অক্টোবর কোতোয়ালী থানার সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলামকে মামলাটির তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
কোতোয়ালী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আশ্রাব আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১০ এর বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী ১০ নং আদালতের পাশাপাশি মোটরযান সম্পর্কিত মামলা পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত। গত ২৪ সেপ্টেম্বর আড়াইটার দিকে মোটরযান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন অন্যান্য নথির সাথে নন এফআইআরের ২ টি মামলা বিচারকের কাছে উপস্থাপন করেন। আসামি না থাকায় বিচারক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
আরও পড়ুন: বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
পরবর্তীতে বিচারক জানতে পারেন, মামলা ২টির জব্দকৃত আলামত মোটরযান শাখার ইনচার্জ ফুয়াদ উদ্দিন ও কনস্টেবল আবু মুছা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজশে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে পরোয়ানা ফেরত কাগজে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরের জায়গায় নিজেরা স্বাক্ষর প্রদান করে আসামিদের দিয়ে দেয়। যার ফটোকপি নথিতে সংযুক্ত।
তাছাড়া এ মামলার নথিতে বিচারকের কোনও স্বাক্ষর নেই ও কোনও জরিমানা করা হয়নি। বিচারক ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন, মোটরযান শাখার ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন ও জিআরও আবু মুছা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজশে দীর্ঘ দিন ধরে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে একই ধরনের অপরাধ করে আসছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এএ