নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোর: বিমানবাহিনীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে কয়েকটি ভুয়া নিয়োগপত্র ও ওয়াকিটকি সেট জব্দ করা হয়।
যশোর বিমান বাহিনীর নিরাপত্তা ইউনিটের ওয়ারেন্ট অফিসার সাহিনুর ইসলাম এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ভুক্তভোগী হাসান আলী আরেকটি মামলা করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, খুলনার তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালি গ্রামের অহেদুজ্জামান ও ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাজিপাড়া গ্রামের মীর আশরাফ আলী। শনিবার (২৯ আগস্ট) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আটক অহেদুজ্জামান যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গা গ্রামে বসবাস করেন। তিনি বিমানঘাঁটি যশোরের সিভিলে লস্কর পদে চাকরি করতেন। বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাধ্যতামূলক চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়। সম্প্রতি বিভিন্ন লোকের কাছে নিজেকে কখনো এয়ার কমডোর শফিকুল ইসলাম আবার কখনো গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবুল কাশেম এবং উইং কমান্ডার রবিউল ইসলাম পরিচয় দেন তিনি। ওই পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন অনেক টাকা। অনেককে ভুয়া নিয়োগপত্রও দিয়েছেন অহেদুজ্জামান। বিষয়টি বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের নজরে এলে অহেদুজ্জামানকে নজরদারিতে রাখা হয়।
এক পর্যায়ে বুধবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিমানবন্দরের চিলি স্পাইসি ফাস্টফুডের দোকানের সামনে থেকে অহেদুজ্জামান ও মীর আশরাফ আলীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়।
সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের হাসান আলীর দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, লিটন নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে অহেদুজ্জামানের সঙ্গে কিছুদিন আগে তার পরিচয় হয়। ওই সময় অহেদুজ্জামান নিজেকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবুল কাশেম পরিচয় দেন। তারই সূত্র ধরে তার সাথে বিভিন্ন সময় কথা হয়। এক পর্যায়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে বিমানবাহিনীতে স্টোরম্যান পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান তিনি। এ সময় তার কাছ থেকে সাড়ে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর কিছুদিন পর তাকে একটা নিয়োগপত্র দেন অহেদুজ্জামান। ওই নিয়োগপত্র নিয়ে তিনি বিমানঘাঁটিতে যোগদান করতে গেলে তা ভুয়া বলে জানতে পারেন।
সান নিউজ/ এআর