নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে পবিত্র আশুরার মিছিলের প্রস্তুতিকালে তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা।এতে দুই জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন। ওই ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় তৎকালীন উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন একটি মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু দেখতে দেখতে দীর্ঘ ৫ বছর পার হয়ে গেলেও এখনও আলোর মুখ দেখেনি সেই মামলাটি। মামলা সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি পক্ষ থেকে আসামিদের বয়স বিবেচনার আবেদন করা হলেই বিপত্তি বাঁধে। দুই আসামি ঘটনার সময় অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক ছিলেন, আসামি পক্ষের এমন দাবির পরই হঠাত থমকে যায় মামলাটি। সে কারণে প্রায় দুই বছর নতুন কোনও সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর আবু সাঈদ নামে এক ব্যক্তি আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর থেকে আর কোনও সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেয়নি। এখন পর্যন্ত ৪৬ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলাটি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। বর্তমানে মামলাটি সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলায় আসামিদের মধ্যে কবির হোসেন, রুবেল ইসলাম, আবু সাঈদ, আরমান কারাগারে আটক আছেন এবং হাফেজ আহসান উল্লাহ মাসুদ, শাহ জালাল, ওমর ফারুক ও চাঁন মিয়া জামিনে আছেন। দুই আসামি জাহিদ হাসান ও মাসুদ রানা নাবালক হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে বিচারাধীন আছে।
অপর দিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীর ভাষ্যমতে, এই মামলাটির তদন্ত সুষ্ঠু হয়নি। তাহলে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার পর আসামির বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠতো না। প্রকৃতপক্ষে এই আসামিরা ঘটনার সঙ্গে কতোটা সম্পৃক্ত সেটা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। এখানে দায়সারা তদন্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় আছি।
সান নিউজ/ এআর