নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: ৫৫ লাখ টাকার চেক প্রতারণার মামলায় বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক গাজী তৌকির রহমান শুভ’র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পলি আফরোজের আমলি আদালত বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) এই পরোয়ানা জারি করেন।
শুভ নগরীর নগরীর কলেজ রো রেফকো অফিস সংলগ্ন হাবিবুর রহমানের ছেলে। ২০০৩ সালে গঠিত বিএম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিতে আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মামলার বাদী ব্যবসায়ী কাজী আতিকুর রহমান নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের খান সড়কের বাসিন্দা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আহাদ আলী খান জানান, মামলার বাদী কাজী আতিকুর রহমানের সঙ্গে আসামী গাজী তৌকির রহমান শুভ’র বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিলো। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রয়ারি থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত কাজী আতিকের কাছ থেকে গাজী শুভ তার ব্যাংক হিসেবের মাধ্যমে ৫৫ লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে আতিক টাকা ফেরত চাইলে শুভ টালবাহানা করেন। গত বছরের ১৩ অক্টোবর মার্কেন্টাইল ব্যাংক সাভার হেমায়েতপুর শাখায় শুভ তার নিজস্ব হিসেব নম্বরের অনুকূলে আতিকের মেসার্স সুরাইয়া কনস্ট্রাকশনের নামে ৫৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। ১৪ অক্টোবর মার্কেন্টাইল ব্যাংকে চেক জমা দেওয়া হলেও পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ব্যাংক ওই চেক ফেরত (ডিজঅনার) দেয়। ১৫ অক্টোবর আতিক আইনজীবীর মাধ্যমে গাজী তৌকির শুভকে আইনি নোটিশ দেন। শুভ নোটিশের কোনো জবাব না দেওয়ায় একই বছরের ১ ডিসেম্বর কাজী আতিক বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক প্রতারণার মামলাটি করেন। আদালত ওই দিনই আসামি শুভকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করেন।
বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত আসামি তৌকির রহমান শুভ’র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক গাজী তৌকির রহমান শুভ মোবাইল ফোনে দাবি করেন, কাজী আতিকের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক লেনদেন আছে। আতিক তার কাছে ৫৫ লাখ টাকা পান। তিনিও আতিকের কাছে টাকা পান। এই বিষয়টি সুরাহা করতে বিভিন্ন সময় তাগাদা দিলেও আতিক কোনো সমঝোতা না করে মামলা করে দিয়েছেন। আইনগতভাবে মামলা মোকাবেলা করার কথাও বলেন ছাত্রলীগ নেতা শুভ।
সান নিউজ/ এআর