নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে আরও একটি হত্যার অভিযোগে একটি ফৌজদারি মামলার দরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ধরে নিয়ে যাওয়ার আট মাস পর আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তিতে হত্যা করেন তারা।
আদালত তা আমলে নিয়ে আবদুল জলিলের মৃত্যুর ঘটনায় আর কোনো মামলা হয়েছে কি না, ময়নাতদন্ত হয়েছে কি না- এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) বেলা ৩টায় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) মো. হেলাল উদ্দিনের আদালত এসব আদেশ দেন।
আবদুল জলিলের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম এই মামলার আরজি দায়ের করেন। এতে অভিযুক্তদের মধ্যে ওসি প্রদীপসহ ১২ জন পুলিশের সদস্য ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার।
এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আবদুল জলিলকে কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া আটক করেন। এরপর টানা আট মাস ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে টেকনাফ থানায় আটকে রাখা হয়। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হলেও গত ৭ জুলাই বন্দুকযুদ্ধের নামে তাকে হত্যা করা হয়। আবদুল জলিল পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর