সাবরিনা-আরিফসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
অপরাধ

সাবরিনা-আরিফসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কোভিড-১৯ বা করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে মামলার বাদী কামাল হোসেন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

দুপুর আড়াইটার শুরু হওয়া এ সাক্ষ্যগ্রহণে প্রথমে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর আসামি পক্ষে আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় আগামী ৩ সেপ্টেম্বর আদালত পরবর্তী জেরার দিন ধার্য্য করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শিহাব উদ্দিন ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান সাক্ষ্যগ্রহণে সহায়তা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা আক্তার পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস ওরফে বিপুল দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা রুমা।

আজ সাক্ষ্যগ্রহণকালে সকল আসামিকেই কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, এ মামলায় গত ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হিরু স্বীকারোক্তি দিয়ে জানান, তিনি ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করতেন, যার সঙ্গে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত। ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজনকে আটক করে।পরে আরিফ জানান, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর জ্ঞাতসারেই সব কিছু হয়েছে।

এরপর গত ১২ জুলাই ডা. সাবরিনা চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়ে ১৩ জুলাই তিনদিনের রিমান্ডে যান। ওই রিমান্ডের পর ১৭ জুলাই তার ফের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আর মামলায় গত ২৩ জুন আরিফ চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে যান। পরবর্তীতে গত ১৫ জুলাই তাকে ফের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে সকল আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক। তিনি আরিফ চৌধুরীর চতুর্থ স্ত্রী। তার প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী রাশিয়া ও লন্ডনে থাকেন। তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তালাক হয়েছে তার।

চতুর্থ স্ত্রী ডা. সাবরিনার কারণেই করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ পায় জেকেজি হেলথকেয়ার। প্রথমে তিতুমীর কলেজ মাঠে স্যাম্পল কালেকশন বুথ স্থাপনের অনুমতি মিললেও প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা, নায়ায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করা হয়। নমুনা সংগ্রহের জন্য মাঠকর্মী নিয়োগ দেয় তারা। তাদের হটলাইন নম্বরে রোগীরা ফোন দিলে মাঠকর্মীরা বাড়ি গিয়ে এবং বুথ থেকেও নমুনা সংগ্রহ করতেন। এভাবে নমুনা সংগ্রহ করে তারা ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট প্রদান করেন। যার মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটি জাল-জালিয়াতির মধ্যেমে তৈরি করে। প্রত্যেক সার্টিফিকেট প্রদানের বিনিময়ে তারা ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।

সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কোটি টাকা নিয়ে উধাও ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প...

মুন্সীগঞ্জে শিক্ষকদের মানববন্ধন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : ঢাকা শিক্ষা ভবনের সামনে সরকারি...

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে নিম...

প্রকল্পের সব তথ্য ওপেন থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এখন থেকে প্রকল্পের সব তথ্য ওপেন থাকবে। শু...

ফ্লাইটে বাংলাদেশি যাত্রীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজ...

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের...

একদিনে আরও ৬ জনের প্রাণহানি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জ...

বলিউডে ফিরছেন আদনান সামি

বিনোদন ডেস্ক : উপমহাদেশের জনপ্রিয় গায়ক আদনান সামি আবারও বলিউ...

করোনার নতুন ধরন ২৭ দেশে ছড়িয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ভ্যারি...

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংবিধান সংস্কার কমিশনের নতুন প্রধান হিসেব...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা