নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ: আলোচিত স্কুলছাত্রী কিশোরীর কথিত ধর্ষণ ও মামলার ঘটনায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান ও মামলার নবনিযুক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আবদুল হাইকে আদালতে তলব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওছার আলমের ৩য় আদালত এ আদেশ দেন।
আদেশের ব্যাখ্যায় আদালত সূত্র জানায়, ওই কিশোরী জীবিত। কিন্তু তিন আসামি কেন তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন- এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে মামলার এজাহার ও জবানবন্দির নথিপত্রসহ তাদের সশরীরে উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে।
আগামী সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত চার আসামির একত্রে জামিন ও রিমান্ডের আবেদনের শুনানির দিনও ধার্য করেন আদালত।
আদালতের মতে, ভিকটিম যেহেতু বেঁচে আছে, সুতরাং হত্যার বিষয়টি মিথ্যা। তাছাড়া ধর্ষণের বিষয়টিও নিশ্চিত নয়। আসামিরা কেন হত্যা ও ধর্ষণের জবানবন্দি দিয়েছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শামীম আল মামুনকে নির্দেশ দেওয়া হলো।
আসামিরা যদি আবারও জবানবন্দি দিতে চায় সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে আদালত জানিয়েছেন।
শহরের দেওভোগ এলাকার ১৫ বছর বয়সী কিশোরী গত ৪ জুলাই বিকালে বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। দীর্ঘদিন খোঁজ করে মেয়ের সন্ধান না পেয়ে একমাস পর ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন কিশোরীর বাবা। এ ঘটনায় কিশোরীর মায়ের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে গত বছরের ৭ ও ৮ আগস্ট পুলিশ একই এলাকার রকিব, আবদুল্লাহ ও খলিলকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে খলিল নৌকার মাঝি। গ্রেপ্তারের পর তিন আসামি দুই দফা রিমান্ড শেষে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে ৯ আগস্ট আদালতে জবানবন্দি দেন।
তবে পরে ওই কিশোরী জীবিত উদ্ধার হলে পুলিশের তদন্ত ও রিমান্ড কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ কারণে মামলার সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম আল মামুনকে বুধবার (২৬ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
কথিত ও চাঞ্চল্যকর ওই ধর্ষণ ও হত্যা এবং তিন আসামির স্বীকারোক্তি দেওয়ার রহস্য উদঘাটনে দুটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে।
সান নিউজ/ এআর