নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ: ধর্ষণ ও হত্যার স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর ভিকটিম কিশোরীর জীবিত উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় মামলার সাবেক তদন্তকারী কর্মককর্তা এসআই শামীম আল মামুনকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে তাকে প্রত্যাহার করা হয় বলে জানান নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, মামলার সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে দুটি কমিটি কাজ করছে। তদন্তে যা উঠে আসবে, সেই আলোকে গাফিলতি থাকলে শাস্তি হবে।
পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম বলেন, কিশোরী ধর্ষণ ও হত্যার স্বীকারোক্তির পর তার জীবিত ফিরে আসায় মামলার সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম আল মামুনকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ মামলার রহস্য উদঘাটনে ও পুলিশের তদন্তে গাফিলতি ছিল না কি না, জানতে দুটি তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, তিন আসামি স্বীকারোক্তি দিলেও ভিকটিমের যেহেতু মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি, তাই এটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়নি।
এদিকে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ ও হত্যা এবং তিন আসামির স্বীকারোক্তি দেওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
একটি তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ভিকটিম ও তার পরিবারের সসদ্যদের জবানবন্দি নিয়েছে। নিখোঁজের পর ওই কিশোরী ৫১ দিন কোথায় ছিল, কার টেলিফোনে পেয়ে সে ঘর থেকে বের হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
শহরের দেওভোগ এলাকার ১৫ বছর বয়সী কিশোরী গত ৪ জুলাই বিকালে বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। দীর্ঘদিন খোঁজ করে মেয়ের সন্ধান না পেয়ে একমাস পর ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন কিশোরীর বাবা। এ ঘটনায় কিশোরীর মায়ের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে গত বছরের ৭ ও ৮ আগস্ট পুলিশ একই এলাকার রকিব, আবদুল্লাহ ও খলিলকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে খলিল নৌকার মাঝি। গ্রেপ্তারের পর তিন আসামি দুই দফা রিমান্ড শেষে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে ৯ আগস্ট আদালতে জবানবন্দি দেন।
তবে পরে ওই কিশোরী জীবিত উদ্ধার হলে পুলিশের তদন্ত ও রিমান্ড কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
সান নিউজ/ এআর