নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: ১০১ জন গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ মাহফিজুর রহমানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি গত ১২ জানুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন।
বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জামিনের আবেদন জানালে খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ জিয়া হায়দারের আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
মামলাটিতে অভিযোগ করা হয়েছে, শেখ মাহফিজুর রহমান সোনালী ব্যাংকের বাগেরহাট প্রধান শাখায় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় তৎকালীন ব্যবস্থাপক শেখ মুজিবর রহমান ও আরেক কর্মকর্তাসহ অন্য ১২ জন গ্রাহকের সঙ্গে এ অর্থ আত্মসাতে জড়িত হন। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তারা ব্যাংকটির ১০১ জন গ্রাহকের অজান্তে তাদের নামে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ২৮ হাজার ৪৫৩ টাকা ঋণ মঞ্জুর করে তা আত্মসাৎ করেন। ঘটনা জানাজানি হলে ব্যাংকের অনুকূলে আসামিরা ৩৬ লাখ ৮১ হাজার টাকা ফেরত দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি খন্দকার মজিবর রহমান জানান, ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর ব্যাংকের ওই শাখায় যোগ দেওয়া নতুন ব্যবস্থাপক খান বাবলুর রহমান জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমানের নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলাটি পরে দুদকে পাঠানো হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের (বাগেরহাট-খুলনা-সাতক্ষীরা) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল হাশেম কাজী তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তদন্তে অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে ব্যাংকের তিনজন কর্মকর্তা ও ১২ জন গ্রাহকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।তারা পরস্পরের যোগসাজশে ১০১ জন গ্রাহকের এসওডির (সিকিউর ওভার ড্রাফট) বিপরীতে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি ও স্বাক্ষর জাল করে ঋণ হিসেবে জমা দিয়ে পরে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনে পিপি খন্দকার মজিবর রহমান জানান, ২০১৬ সালে তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল হাশেম কাজী তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন জানালে তা মঞ্জুর হয়। এরপর থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন প্রধান আসামি শেখ মুজিবর রহমান। আর শেখ মাহফিজুর রহমান গত ১২ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।
সান নিউজ/ এআর