নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১২ সালে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের করা নাশকতা মামলায় জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলের ৯৬ জন নেতাকর্মীর বিচার শুরু করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: আ.লীগের বড় ২ সমাবেশ সেপ্টেম্বরে
বুধবার (২৩ আগস্ট) আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি হেমায়েত উদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ দিন আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন ও আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আইনজীবী শুনানি করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে শুনানি করেন এপিপি হেমায়েত উদ্দিন খান।
আরও পড়ুন: কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, একই দিনের ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৪ টি মামলা করা হয়।
একই দিনে খুলনায় দায়ের করা এক মামলায় আসামি গোলাম পরওয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার চলমান রয়েছে।
এ সময় আসামিদের অভিযোগ গঠনের বিরোধিতা করেন তারা।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃতরা ফেক নিউজ দিচ্ছে
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, এ মামলা প্রমাণে পর্যাপ্ত ভিডিও ও অডিও ফুটেজ রয়েছে।
এতে আসামি পক্ষের আইনজীবী কামাল উদ্দিন বলেন, এ মামলার আসামি ডা. শফিকুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, এমন কোনো ভিডিও ফুটেজ যদি কেউ দেখাতে পারেন, তাহলে তাকে এক কোটি টাকা পুরস্কার দেবো এবং আইন পেশা ছেড়ে দেবো।
আরও পড়ুন: ঢাকায় প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু আজ
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন বলেন, আসামিরা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য মতিঝিলের টয়নবি সার্কুলার রোডে অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুর করেন।
ঘটনার সত্যতা পেয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে থাকসিন সিনাওয়াত্রা
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর জামায়াত-শিবিরের ২০০-৩০০ নেতাকর্মী বেআইনিভাবে জড়ো হয়ে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরিসহ আটক শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে।
জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের কাজ করেন তারা। এ সময় ২ টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করা হয়।
এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় মিজানুর রহমান সুমন বাদী হয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৫৬
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আউয়াল হোসেন তদন্ত শেষে মোট ৯৭ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এদের মধ্যে আসামি আব্দুর জব্বার মারা গেছেন।
অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় ২৭ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মামলাটি বিচারের জন্য ১৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়।
সান নিউজ/এনজে