নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি মজনু নিজেকে ঘটনায় বিষয়ে নির্দোষ দাবি করেছেন। বুধবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার আদালতে অভিযোগ গঠন বিষয়ে তাকে ভার্চুয়ালি হাজির করা হয়। এরপর শুনানি শেষে বিচারক মজনুকে বলেন, আপনার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। আপনি দোষী নাকি নির্দোষ? তখন মজনু নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
এদিন ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালত অভিযোগ গঠন করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, এদিন আসামি মজনুকে কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এদিন আসামি মজনুর পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিল না।
এর আগে ১৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য বুধবার (২৬ আগস্ট) দিন ধার্য করেন।
গত ১৬ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আবু সিদ্দিক মজনুকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অভিযোগপত্রে ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়ে।
৯ জানুয়ারি ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার আসামি মজনুর সাত দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে ধর্ষক মজনু কারাগারে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাস স্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।