নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভার্চুয়ালি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মজনুর বিচার। এই মামলায় ভার্চুয়ালি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।
বুধবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার ক্যান্টনমেন্ট থানার মামলাটির বিরুদ্ধে একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এ সময় কারাগার থেকে মজনুকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত দেখানো হয়। মোবাইলের মাধ্যমে মজনুকে অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
মজনুর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। সরকারিভাবে আইনজীবী নিয়োগে তাকে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে বলেন আদালত।
গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগত্র দাখিল করেন। ওইদিনই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালত বিচারের জন্য মামলাটি সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
এরপর গত ১৬ আগস্ট একই আদালত এই মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে চার্জ গঠনের জন্য ২৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
অভিযোগপত্রে মজনুকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। আর রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী করা হয়েছে ১৬ জনকে। ভুক্তভোগীর পোশাক ও মোবাইল ফোনসহ ২০টি আলামত জমা দেওয়া হয়েছে অভিযোগপত্রের সঙ্গে।
গ্রেপ্তারকৃত মজনু গত ১৬ জানুয়ারি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানববন্দিতে তিনি একাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানান।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পাশের একটি নীরব জায়গায় নিয়ে যান অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন।
সান নিউজ/ এআর