নিজস্ব প্রতিবেদক:
জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী মিথ্যা তথ্যের মধ্যে দিয়ে নিজের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন, যার দুটিই সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুটিতে তার স্বামীর নাম দু’রকম। একটি এনআইডির চেয়ে অন্যটিতে বয়স ৫ বছর কম দেখানো হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন আগে বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য দিয়েছে। ইসি এখন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। ইসির একজন কর্মকর্তা বুধবার (২৬ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইন অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য বা ঘোষণা দিয়ে ভোটার হলে ৬ মাস কারাদণ্ড, অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।
জানা গেছে, ডা. সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। একটিতে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নাম দিয়ে। জন্ম তারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। দুটি আইডিতে বয়সের ফারাক পাঁচ বছর।
একটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর. এইচ. হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। একটিতে বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন ও মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমীন অপরটিতে মা-বাবার নাম পরিবর্তন করে সৈয়দ মুশাররফ হসেন ও জেসমিন হুসেন দিয়েছেন।
দুই এনআইডিতে দুই ঠিকানাও ব্যবহার করেছেন তিনি। একটিতে মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটির ঠিকানা অন্যটিতে বাড্ডা এলাকার প্রগতি সরণির আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ৫ আগস্ট জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি)।
সান নিউজ/ আরএইচ