নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামে চাঞ্চল্যকর ট্রিপল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. আলমগীর সরদার বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ নিয়ে ওই মামলার এজাহারভুক্ত ২২ আসামির মধ্যে ১০ জন গ্রেপ্তার হলেন। তবে মামলার প্রধান দুই আসামি জাকারিয়া ও তার ভাই মিল্টনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মামলার ১৩ নম্বর আসামি আলমগীর সরদার বাবুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগে মামলার ৩ নম্বর আসামি আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের মশিয়ালী গ্রামের মৃত হাসান আলী শেখের ছেলে মো. জাফরীন শেখসহ (৩২) এজাহারভুক্ত ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দুই দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জাফরিনের স্বীকারোক্তিতে ট্রিপল মার্ডারে ব্যবহৃত দুটি দেশি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্য আটজন হলেন- মশিয়ালী গ্রামের মো. মোকছেদ শেখের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর শেখ (৩৫) ও মো. আলমগীর শেখ (৩৮), মো. কুরবান শেখের ছেলে মো. আরমান শেখ (২০), মৃত আক্তার আকুঞ্জির ছেলে মো. রহিম আকুঞ্জি (২২), মো. ফারুকের ছেলে মো. রবিন (২০), মো. বাবুল শেখের ছেলে মো. মিঠু শেখ (৩৩) ও মো. মোকছেদ শেখের ছেলে মো. জুয়েল শেখ (৪০) ও তার ভাই মো. মুরাদ শেখ (৩২)।
আদালতের কাছে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন জাকারিয়া-মিল্টনের ভাই জাফরিনসহ পাঁচ আসামি। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য চারজনকেও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) কানাই লাল সরকার জানান, গ্রেপ্তারকৃত আলমগীরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত ১৬ জুলাই রাতে খুলনা মহানগরীর মশিয়ালী ইস্টার্নগেট এলাকায় তিন সহোদর জাকারিয়া-জাফরিন-মিল্টন বাহিনীর গুলিতে নিহত হন মশিয়ালী গ্রামের মৃত বারিক শেখের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৬০), একই গ্রামের মো. ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০) ও মো. শাহিদুল শেখের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২৫)। আহত হন আরও ছয়জন। অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে জাকারিয়ার চাচাতো ভাই জিহাদ শেখ নিহত হন।
নিহত সাইফুলের বাবা মো. শাহিদুল শেখ মশিয়ালীর মৃত হাসান আলী শেখের চার ছেলেসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করে খানজাহান আলী থানায় হত্যা মামলাটি করেন।
সান নিউজ/ এআর