নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: মহানগরীর খালিশপুরে কলেজছাত্র মো. হাসিবুর রহমান নিয়াজকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামির মধ্যে দুজন। অন্য দুজনের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
চাঞ্চল্যকর হাসিবুর হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রাতে খালিশপুর হাউজিং এলাকা থেকে এজাহারভুক্ত তিন আসামি নাজমুল শেখের ছেলে মো. সাকিব শেখ (২২), মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. মুহিত মোস্তাসির ইথুন (১৮) ও গোলাম মোস্তফার ছেলে মো. তুষার (২৬) এবং সন্দেহভাজন আসামি মো. আব্দুর রহমানের ছেলে নাইমুর রহমান ফাহিমকে (২০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাকিব পিপলস ৫মতলা নতুন কলোনি, ইথুন পৌরসভার মোড়, তুষার হাউজিং নতুন কলোনির তাহেরা বেগমের বাড়ি এবং ফাহিম পিপলস ৫মতলা ফ্যামিলি কোয়ার্টারের ২নং বিল্ডিংয়ের যার যার বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এজাহারভুক্ত আসামি সাকিব ও সন্দেহভাজন আসামি ফাহিম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অন্যদিকে এজাহারভুক্ত আসামি তুষার ও ইথুনের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত বুধবার (১৯ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে খালিশপুর লাল হাসপাতালের সামনে তৈয়্যবা কলোনির মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো হাসিবুর রহমান নিয়াজকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করেন এলাকার কয়েকজন যুবক। তারা হাসিবুরের দুই বন্ধু জোবায়ের (২৫) ও রানাকে (২৫) কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। খালিশপুর মানুষী বিল্ডিংয়ের আলতাফ হোসেনের ছেলে জোবায়ের ও খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক এলাকার সানোয়ারের ছেলে রানা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নিহত হাসিবুরের বাবা মো. হাবিবুর রহমান শিকদার বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলাটি করেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) কানাই লাল সরকার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, খালিশপুর তৈয়্যবা কলোনির কবির মুক্তিযোদ্ধার ছেলে সৈকত (৩২), তৈয়্যবা কলোনির লাভ রোডের কুদ্দুস মোল্লার ছেলে আরাফাত (৩৫), মেগার মোড়ের বাবুর ছেলে অন্তু (৩২), তৈয়্যবা কলোনির রুনু হাওলাদারের ছেলে হাসান রাব্বি (২৬), পাওয়ার হাউজ গেট এলাকার কানা নুরুর ছেলে সাজ্জাত (২০) ও সেন্টুর ছেলে হৃদয় (২০), টিঅ্যান্ডটি এলাকার স্বামীহারা রোডের নান্নুর ছেলে তুষার (২২), তৈয়্যবা কলোনির আকরামের বাড়ির ভাড়াটিয়া রাব্বি ওরফে নাটা রাব্বি (২৫) ও রুবেল (২৪), তৈয়্যবা কলোনির রাকিবের বাড়ির ভাড়াটিয়া ফকরুলের ছেলে সাইফুল (২৫), বঙ্গবাসি এলাকার মান্নানের ছেলে পয়েন্ট বাবু (২৫) ও কালামের ছেলে সালমান (১৯), তৈয়্যবা কলোনির জব্বারের ছেলে রায়হান (২২), মনির হাজি মসজিদের পাশে এনই-৯ এর বাসিন্দা আমীর খানের দুই ছেলে আরিফ (২৮) ও মুন্না (২২), তৈয়্যবা কলোনির নাটা জুয়েল (২৫) ও ভাসানি স্কুলের সামনে এন এ/২৩ এর আমিন উদ্দিনের ছেলে আতাং বাবু (২৮)।
সান নিউজ/ এআর