নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুর: ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে ঢাকার উত্তরা এলাকার ১২নং সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একাধিক মামলার আসামি হিসেবে শামীম আত্মগোপনে ছিলেন। তবে দেশব্যাপী আলোচিত দুই ভাই বরকত-রুবেলের দুই হাজার কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলায় প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তাকে।
ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন রুবেল ওই মামলার মূল আসামি। ঢাকায় সিআইডির রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ও পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তারা বেশ কয়েকজন সহযোগীর নাম প্রকাশ করেন। ওই জবানবন্দিতে নিশান মাহমুদ শামীমের নামও আসায় তিনি গ্রেপ্তার হলেন।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুর তিনটায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলীমুজ্জামান। তিনি জানান, ঢাকার কাফরুল থানায় সিআইডির করা দুই হাজার কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলায় নিশান মাহমুদ শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরীর ওপরে হামলা ও অন্য একটি চাঁদাবাজি মামলায় ফরিদপুরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত ২৬ জুন দায়েরকৃত মানিলন্ডারিং মামলায় এর আগে বরকত-রুবেলসহ আরও ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান খন্দকার লেভী, জেলা শ্রমিকলীগের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন ও শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান।
এর আগে গত ৭ জুন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সূত্র ধরে মানিলন্ডারিং মামলার প্রধান দুই আসামি বরকত ও রুবেলসহ নয়জনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে চলমান এ বিশেষ অভিযান শুরু হয়।
সান নিউজ/ এআর