নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্লগার ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদকে হত্যার চার বছরের বেশি সময় পর নয়জনকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
তাদের মধ্যে আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক আছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে পুরান ঢাকায় খুন হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের ছাত্র নাজিমুদ্দিন। রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় বাসায় ফেরার পথে সূত্রাপুরে সড়কে তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
নাজিমুদ্দিন সিলেট শাখা বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ফেইসবুকে ধর্মান্ধতা ও সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে সমালোচনামূলক লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি।
সাইফুল ইসলাম জানান, এই মামলায় নয় আসামির চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রশিদ উন নবী, মোজাম্মেল হোসাইন সায়মন, আরাফাত রহমান ও শেখ আবদুল্লাহ। এর মধ্যে সায়মন ও আরাফাত অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডেরও আসামি।
পলাতক আসামিরা হলেন- সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত), ওয়ালি উল্লাহ ওরফে ওলি, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে কনিক, মওলানা জুনেদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদ এবং আকরাম হোসেন।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর