নিজস্ব প্রতিবেদক:
পদ্মা ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) রিমান্ড চলার সময়ে হঠাৎ অসুস্থতার ভান ধরেন রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিম। তবে সেই প্রতারণার চেষ্টা কাজে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত রিমান্ড এড়াতে পারেননি তিনি।
অসুস্থতার ভান ধরায় মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সকালে তাকে রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এনে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। এসময় তার শরীরে কোনো ধরনের সমস্যা নেই বলে জানান চিকিৎসকরা। তারা বলেন, সাহেদ করিম পুরোপুরি সুস্থ। হাসপাতালে থাকার মতো কোনো ধরনের শারীরিক জটিলতা তার নেই।
চিকিৎসকদের অনুমোদন পাওয়ার পর দুপুর দুইটা থেকে ফের দুদকের দ্বিতীয় দিনের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন সাহেদ।
এর আগে দুদকের রিমান্ড এড়াতে সোমবার (১৭ আগস্ট) রাতে অসুস্থতার ভান শুরু করেন নানা প্রতারণায় জড়িত সাহেদ করিম। সকালে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে রাখা সংশ্লিষ্ট থানা থেকে দুদক কার্যালয়ে না নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। টানটান উত্তেজনায় হঠাৎ ভাটা পড়ে যখন তিনি স্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। আর ক্যামেরা দেখেই নিজেকে সরিয়ে নেন বারবার।
এর আগে ঋণ জালিয়াতি মামলায় আদালতে রিমান্ডের শুনানি চলার সময়ে সাহেদ নিজেকে করোনা পজিটিভ রোগী বলে দাবি করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি সেই অসুস্থতার দাবিও।
পদ্মা ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে দুই কোটি ৭২ লাখ টাকার দুর্নীতির মামলায় দুপুরে দ্বিতীয় দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়াও এরিমধ্যে অন্যান্য মামলা ও অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্তে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আভাস দিয়েছেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত।