নিজস্ব প্রতিনিধি:
বোয়ালমারী (ফরিদপুর): এইচএসসি পরীক্ষার্থী আশিক রানা (১৯) নিহতের ঘটনায় সোমবার (১৭ আগস্ট) আলফাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামি নজরুল শরীফ (৪২), সবুজ (২০) ও মারিয়া খানমকে (১৫) গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার (১৭ আগস্ট) কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই স্বপন কুমার জানান, সাত আসামির অন্য চারজনকে গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।
গত ১৫ আগস্ট রাত ৩টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের কুঠরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও বানা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি শরীফ হারুন-অর-রশিদের বাড়ি থেকে একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী আলমগীর শেখের বড় ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী আশিক রানার মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। আশিক রানা ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। নিহতের চাচা বানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে শরীফ হারুন-অর-রশীদকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি করেন।
মামলার বাদী জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘অসাধু উপায়ে ময়না তদন্তের রিপোর্টে হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন হত্যাকারীরা’।
অবশ্য আশিকের ঝুলন্ত মরদেহ শরীফ হারুন-অর-রশীদের দোতলা বাড়ির একটি কক্ষ থেকে উদ্ধারের পর ওই বাড়ির মেয়ে তার প্রেমিকা মারিয়া বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আশিক আত্মহত্যা করেছেন বলে বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী দাবি করে আসছিলেন।
শরীফ হারুন-অর-রশীদ বলেছিলেন, ‘আমার মেয়ে মারিয়ার সঙ্গে আশিক ফোনে কথা বলতো বলে জেনেছি। ওইদিন আমার স্ত্রী বাসায় না থাকার সুযোগে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আশিক আমার বাড়িতে যায়। কথাবার্তার একপর্যায়ে আশিক মারিয়াকে গোপনে বিয়ের কথা বলে মাগুরা যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। মারিয়া গোপনে বিয়ে ও মাগুরা যেতে অস্বীকার করলে আশিক আত্মহত্যার হুমকি দেয়। একথা শুনে মারিয়া নিজের রুম থেকে অন্য রুমে চলে যায়। পরে ভেতর থেকে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় গামছা বেধে আত্মহত্যা করে আশিক।’
আর নিহত আশিকের রানার চাচা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘রাতে খবর পেয়ে হারুন শরীফের বাড়িতে গিয়ে দোতলা ভবনের পুকুরপাড়ের একটি নির্জন কক্ষে আমার ভাতিজার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। হারুন শরীফ পূর্বশত্রুতার জেরে ধরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহটি ঝুলিয়ে রাখেন।’
পুলিশ মারিয়াসহ পরিবারের ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে, যাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সান নিউজ/ এআর