নিজস্ব প্রতিবেদক:
পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) গুলশান করপোরেট শাখার দুই কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুদকের একজন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
সোমবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে আনা হয়।
গত ১০ আগস্ট দুদকের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সাহেদের।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ গত ৬ আগস্ট আসামি সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়েছিলেন। শুনানি শেষে আদালত সাহেদকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন দুদককে।
গত ৬ জুলাই উত্তরায় রিজেন্টের হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। হাসপাতাল থেকে জব্দ করা হয় ভুয়া করোনা রিপোর্ট। পরদিন র্যাব উত্তরা-পশ্চিম থানায় মামলা করে। গত ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর পৃথক পাঁচটি মামলায় ঢাকা ও সাতক্ষীরার পৃথক দুটি আদালত সাহেদের ৩৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০১৫ সালে ফারমার্স ব্যাংকের দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ, ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি ওরফে বাবুল চিশতীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ মামলাটি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পদ্মা ব্যাংকের সাবেক অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ওরফে বাবুল চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতি এবং রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল।
এর আগে গত ২২ জুলাই এনআরবি ব্যাংকের এক কোটি ৫১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে দুদক।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর