নিজস্ব প্রতিনিধি:
বোয়ালমারী (ফরিদপুর): ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের কলেজছাত্র আশিক রানার (১৯) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে একই গ্রামের শরীফ হারুন-অর-রশীদের দোতলা বাড়ির একটি রুম থেকে। ওই বাড়ির মেয়ে তার প্রেমিকা মারিয়া বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আশিক আত্মহত্যা করেছে বলে বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী জানালেও পরিবারের দাবি, পূর্বশত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
শনিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় ঝুলন্ত অবস্থায় আশিকের মরদেহ উদ্ধার ও মারিয়াসহ পরিবারের ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ।
আশিক রানা সৌদি প্রবাসী আলমগীর শেখের ছেলে ও ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তার হারুন-অর-রশীদের ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মারিয়ার সঙ্গে প্রেম ছিল বলে এলাকাবাসী জানান।
তবে নিহত আশিক রানার চাচা আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘রাতে খবর পেয়ে হারুন শরীফের বাড়িতে গিয়ে দোতলা ভবনের পুকুরপাড়ের একটি নির্জন কক্ষে আমার ভাতিজা আশিক রানার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। হারুন শরীফ পূর্বশত্রুতার জেরে ধরে আশিক রানাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশটি ঝুলিয়ে রাখে।’
হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে শরীফ হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘আমার মেয়ে মারিয়ার সঙ্গে আশিক ফোনে কথা বলতো বলে জেনেছি। ওইদিন আমার স্ত্রী বাসায় না থাকার সুযোগে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আশিক আমার বাড়িতে যায়। কথাবার্তার একপর্যায়ে আশিক মারিয়াকে গোপনে বিয়ের কথা বলে মাগুরা যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। মারিয়া গোপনে বিয়ে ও মাগুরা যেতে অস্বীকার করলে আশিক আত্মহত্যার হুমকি দেয়। একথা শুনে মারিয়া নিজের রুম থেকে অন্য রুমে চলে যায়। পরে ভেতর থেকে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় গামছা বেধে আত্মহত্যা করে আশিক।’
আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার ও সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরে পাঠিয়েছি। রির্পোট পাওয়ার পর জানা যাবে, এটি হত্যা না আত্মহত্যা।’
সান নিউজ/ এআর